Directly contributed to the IT skills development of around 20,000 people and indirectly around 30,000 people. The opportunity to play a role in the branding and business development of over 200 organizations

Get In Touch

কনটেন্ট তো তৈরি করতে পারিনা, এটা আরেক সমস্যা। এবার কনটেন্ট নিয়েই লিখবো। এ লেখাটা পড়ার পর কনটেন্টে ভাল দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

কনটেন্ট কি?

আর্টিকেল, ছোট পোস্ট, ভিডিও, লাইভ ভিডিও, ইমেজ, ইনফোগ্রাফিকস, অডিও সাউন্ড সব কিছুই আর্টিকেল। ইনফ্যাক্ট আমরা যেকোন কিছু ব্রান্ডিং করার পরিকল্পনা করলে সব ধরনের কনটেন্ট ব্যবহার করি।

সব কিছুতে আপনার দক্ষতা না থাকতেও পারে, সেটাকে অজুহাত দেখিয়ে হায় হুতাশ করার মত কিছু নাই। আমি দেখতে সুন্দর না, উচ্চারণও আমার ভালো না। সেজন্য আমি নিজেকে প্রদর্শন করে ভিডিও কনটেন্ট করিনা। সেজন্য হায় হুতাশ করিনা। সেটার জন্য যোগ্য না  দুনিয়া ধ্বংস হয়ে গেছে, এরকম কিছু ভাবিনা। অন্য টাইপ ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে ফেলি। আর আর্টিকেল লিখাতে নিজের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করেছি।

আমি কিভাবে এত ভালো আর্টিকেল লিখা শিখলাম?

বিশ্বাস রাখেন, আমি জন্ম থেকে আর্টিকেল লিখা শিখিনি। এবং আমি জীবনে মাত্র ২৩টা গল্প বই পড়েছি। তার মানে বই পড়ে নিজের লিখার যেই যোগ্যতা তৈরি হবে, সেটাও ঘটার সুযোগ নাই। ২০১২ তে যখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি নিজেকে পার্সোনাল ব্রান্ডিং করবো, তখন থেকে সাধনাতে নেমে পড়ি।

  • অন্যের ব্লগ লিখাগুলো যেগুলো খুব ভালো লাগতো তা অনুসরণ করতাম, অনেক ক্ষেত্রে কপিও করতাম।
  • ভালো লেখাগুলো অনুসরন এবং কপি করে নিজেকে দক্ষ করতে উদ্যোগ নিয়ে ২ মাসে ২৫টার মত  ব্লগ আর্টিকেল লিখি। যখন ২৫টা আর্টিকেল লিখেছি,  এবং এত কম সময়ে লিখেছি, তখনই নিজের ভিতর এই দক্ষতা চলে আসছে। তারপর নিজের এ যোগ্যতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে সামহোয়ারইনব্লগের তখনকার তুখোড় সব ব্লগারদের লেখা পড়তাম, আর ভালো লাগা কোন লেখার বৈশিষ্ট্যকে আমার লেখাতে প্রয়োগ করার চেষ্টা করতাম। ব্যস দক্ষতা হতে থাকলো, হতেই থাকলো।

একটা ভালো আর্টিকেল লিখতে কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়?

৩টি বিষয়।

  • টপিকস নির্ধারণ
  • আর্টিকেল লিখা
  • প্রেজেন্টেশন

টপিকস নির্ধারণ: একটা আর্টিকেল মানুষ কতটুকু পছন্দ করবে, সেটার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে টপিকস নির্ধারণ। এই টপিকস ঠিক করতে আপনারা নিজের মাথার উপর অত্যাধিক প্রেসার দেন। কিন্তু বিশ্বের ভাল কোন রাইটার নিজের মাথা থেকে টপিকস নির্ধারণ করেনা। অনেকগুলো উপায় আছে। তার মধ্যে আপনাদের জন্য অনুকরনীয় দুটি উপায় হচ্ছে:

  • যে বিষয়ে লিখছেন, সেই রিলেটেড ভালো কোন গ্রপের আলোচনা এবং কমেন্টস থেকে ভালো টপিকস আইডিয়া পাবেন।
  • যে বিষয়ে লিখবেন, সেই বিষয়ে কোন ইনফ্লয়েন্সার অবশ্যই কোন কনটেন্ট (ভিডিও কিংবা আর্টিকেল) বানিয়েছে, সেই টপিকস নিয়ে আপনি আপনার মত করে কনটেন্ট বানাবেন।

ধরেন, আয়মান সাদিক কাল একটা টপিকসে ভিডিওতে চমৎকার কথা বলছে, আপনার কাছে ভালো লাগছে। সেই টপিকসে আপনার মত আপনি একটা লিখা লিখে ফেলেন। আয়মান যা বলছে, সেখান থেকে আইডিয়া নেন।

আবার কোন গ্রপে দেখলেন, কনটেন্ট রিচ হয়না নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে, সো এটা ওই গ্রপের জন্য হট টপিকস। তাই এ টপিকসের উপরই লেখার ব্যাপারে প্লান করেন।

আর্টিকেল লিখা:

মৌলিক, তথ্যবহুল লিখাই মানুষকে বেশি আকর্ষন করে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আমি ২০০৩ সাল থেকে অনেক বড় পযায়ে কাজ করে আসছি। তাই আমার অভিজ্ঞতা থেকে এ সাবজেক্টের উপর লিখা সহজ। ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবেতো সব ধরনের বিজনেসে কাজ করতে হয়। তখন সেই ইন্ড্রাষ্ট্রির তথ্যতো আমার জানা থাকেনা। তখন বিভিন্ন কনটেন্ট গুগল সার্চ করে, কিংবা ফেসবুকে সেই রিলেটেড গ্রপগুলো যুক্ত থাকলে অনেক ভালো কনটেন্ট পাই। সেই কনটেন্টের মুল বিষয় পড়ে বুঝে নেই, তারপর নিজের মত করে কনটেন্টটাকে আবার নতুনভাবে উপস্থাপন করি।

 আর্টিকেল লেখার সময় মানুষ শেষ পযন্ত যাতে লেখাটা পড়ে, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই লেখাতে প্যারা ব্যবহার করি, পয়েন্ট পয়েন্ট করে লিখি। পয়েন্ট থাকলে সেই পয়েন্টটা মানুষের চোখ আটকিয়ে দেয়। তখন মানুষ পড়তে চায়।

প্রেজেন্টেশন:

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট। এবং খুব ভালোভাবে বিষয়টা মাথাতে রাখার চেষ্টা করেন।

প্রেজেন্টেশনটা দুটি কারনে গুরুত্বপূর্ণ:

  •   মানুষ ফেসবুকে সারাদিন শুধু স্ক্রল করে। সেই স্ক্রল আপনার লেখাতে এসে যাতে থেমে যায় সেটা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে।
  • লেখাটা পড়া শুরু করে শেষ না করে যাতে কেউ পড়াটার থেকে সরে না যায়, সেটার জন্য প্রেজেন্টশনের সময় আলাদা কিছু পরিকল্পনা রাখতে হয়।

স্ক্রল থামিয়ে লিখাতে যাতে চোখ আটকে যায়, সেটার জন্য দুটি কাজ করতে হয়।

  • ইমেজে  আকর্ষণীয় কোন মেসেজ, কিংবা আকর্ষনীয় ইমেজ ব্যবহার।
  • যেকোন পোস্টের ১ম ২ লাইন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, যে ২ লাইনের লিখা পড়ে মানুষ সিদ্ধান্ত নেয়, লেখাটাতে থেমে পড়বে কিনা।

স্ক্রল থামিয়ে আপনার লেখাতে ক্লিক করে ওপেন করার জন্য টিপস দিলাম। এবারের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মানুষ যাতে পুরো লিখাটা পড়ে। কিংবা ৩০% পড়লেও সেটাকে ফেসবুক ভালো কনটেন্ট হিসেবে কাউন্ট করে।

পুরো লিখাটা শেষ করার পযন্ত পাঠককে ধরে রাখতে পয়েন্ট ব্যবহার করি, প্যারা ব্যবহার করি বলেছি। তাছাড়াও লিখার মধ্যে বোল্ড করা, কোটেশন মার্ক ব্যবহার করি, পয়েন্ট সাইন ব্যবহার করি। আর লেখার মধ্যে বিভিন্ন লাইনে কিছু মজা করার চেষ্টা করি, কিংবা কিছু টুইস্ট ব্যবহার করি।

এইতো, এটাই হচ্ছে আর্টিকেল লেখার টিপস। এবার চেষ্টা করেন, প্রাকটিস করেন। নিজের মাথার উপর প্রেসার কমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *