বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে রোববার। এখন থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালাতে হলে সকল কোম্পানিকে নিবন্ধনের মাধ্যমে একটি ব্যবসায়িক পরিচিতি নম্বর নিতে হবে।
এমনকি যারা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে ব্যবসা করবেন তাদেরও এই আইডি লাগবে বৈধভাবে ব্যবসা করার জন্য।
এর নাম দেয়া হয়েছে ডিজিটাল-কমার্স বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ডিবিআইডি।
শুরুতে এটি হবার কথা ছিল ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন বা ইউবিআইডি। কিন্তু পরে সেটি বদলে ডিবিআইডি করা হয়। কারণ আমাদের অনেক ই-কমার্স উদ্যোক্তা আছেন যাদের ট্রেড লাইসেন্স নেই, কেউ আছেন যারা ফেসবুকে ছোট আকারে ব্যবসা করেন, তাদের ইউনিক বিজনেস আইডি দেয়া যেত না। সে কারণে সবাই যাতে সাধারণভাবে নিবন্ধন করতে পারে, সেজন্য এটিকে আরো সরল করে ডিবিআইডি করা হয়েছে।
এখন এই নিবন্ধন নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন থেকে কোন ই-কমার্স উদ্যোক্তার যদি ডিবিআইডি না থাকে তাহলে তাকে বৈধতার স্বীকৃতি দেবে না সরকার।
অনলাইনে ব্যবসা করতে নিবন্ধন কিভাবে করবেন?
www.mygov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের জন্য আবেদন এ ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করে আবেদন করবেন। এ নিবন্ধন করতে কোন ধরনের টাকা খরচ হবেনা।
নিবন্ধন করার নিয়মঃ
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১.ছবি*
২. স্বাক্ষর
৩. আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি*
৪. আয়কর নিবন্ধন নম্বর সত্যায়িত কপি (যদি থাকে)
কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সত্যায়িত কপি (যদি থাকে)
৫. ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি( যদি থাকে)
পরিচালকগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি*
৬. প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি*
৭. বাড়ির মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি
৮. ভাড়া অফিসের ক্ষেত্রে বাড়ি ফ্ল্যাটের মালিকের সাথে সম্পাদিত চুক্তির দলিলের সত্যায়িত কপি
৯. ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর এর সত্যায়িত কপি (যদি থাকে)
স্থানীয় চেয়ারম্যান / ওয়ার্ড কমিশনার / গণ্যমান্য ব্যক্তির সুপারিশ
আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলী
১। আবেদন ফরমের তারকা চিহ্নিত ঘরগুলো অবশ্যই পূরণ করুন। অন্যান্য ঘরগুলো পূরণ ঐচ্ছিক।
২। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে প্রয়োজন হলে সংরক্ষণ করা যায় এবং পরবর্তীতে সেবা ব্যবস্থাপনা অপশন হতে ড্রাফট আবেদন পুনরায় শুরু করা যাবে।
৩। আবেদন দাখিলের পর প্রতিটি আবেদনের জন্য একটা স্বতন্ত্র ট্রাকিং নম্বর প্রদান করা হবে যেটা ব্যবহার করে সেবা ব্যবস্থাপনা অপশন হতে আবেদনের অগ্রগতি জানা যাবে।
কেউ যদি নিবন্ধনের সময় সব কয়টি ঘর পূরণ করতে পারেন, তাহলে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবেন এবং তৎক্ষণাৎ নিজের নিবন্ধন নম্বর পেয়ে যাবেন। ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের সময়সীমা বলা হয়েছে ৩০ দিন। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি ৩০দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে কি না।
1 Comment
Fouad Kemal Kaderi
August 24, 2022খুবই হেল্পফুল একটি পোস্ট। যদিও যে যে বিষয়গুলো ডকুমেন্ট হিসেবে এখানে চাওয়া হয়েছে তার অনেকগুলোই আমার নেই। তবুও চেষ্টা করবো নিবন্ধনটা করে ফেলতে।