Directly contributed to the IT skills development of around 20,000 people and indirectly around 30,000 people. The opportunity to play a role in the branding and business development of over 200 organizations

Get In Touch

Quazi Sabir

সাধারণত আমাকে হায়ার করতে তারাই আসে, যারা সেলস নিয়ে ড্রপ খেয়ে তলানীতে চলে যায়। ২০১২ থেকেই এটাই আমার কপালে জুটছে। ভালো অবস্থাতে কেউ আমার কাছে আসেনা।
কঠিন অবস্থা থেকে উঠিয়ে বিজনেসে আশা ভরসার আলোর মুখ দেখাতে পারলে যে উচ্ছাসটা দেখি, সেটাই অনেক বেশি তৃপ্তি দেয় আমাকে।
তেমনি একটা রিসেন্ট গল্প শেয়ার করবো এ পোস্টে, যেটা থেকে আপনার বিজনেসের জন্য প্লান সাজাতে সহজ হবে।
৩ মাস আগে T-sports এর সবচাইতে জনপ্রিয় উপস্থাপক Quazi Sabir ভাই (যে ছবিটা দেখতেছেন, উনিই কাজী সাবির ভাই) কল আছে আমাদের টিমের কাছে। আমার ৪ দিনের ওয়ার্কশপ করে উনি এত বেশি সন্তুষ্ট যে, উনার ৩ বছরের রানিং একটা স্পোর্টস আইটেম নিয়ে বিজনেস রয়েছে, সেটার দায়িত্ব আমাদেরকে দিতে চাচ্ছেন।
আমি কাজটা নিতে খুবই অনাগ্রহী ছিলাম, ৩টা কারনে:
  • উনি মিডিয়ার টপ লেভেলে কাজ করা, ইভেন্ট করা মানুষ। উনার চোখে আমাদের কনটেন্টের অনেক বেশি ভুল ধরা পড়বে। সন্তুষ্ট অর্জন করা কঠিন হবে।
  • আমি নিজে জীবনে খেলাধুলা খুব কম করেছি, তাই খেলার ব্যাপারে আবেগটা কম বুঝি। তাই ওই টাইপ অডিয়েন্সদের মন জয় করে ক্লায়েন্টে কনভার্ট করার মত প্লান ব্রেইন দিয়ে বের করাটা কঠিন হবে।
  • স্পোর্টস প্রোডাক্ট অনলাইন থেকে কেনার মত অভ্যাস এখনও মানুষদের গড়ে উঠেনি। আবার খেলা মাঠে না গিয়ে অনলাইন থেকে শিখবে, এটা মানুষ কতটুকু মেনে নিবে, সেটা নিয়ে সংশয় ছিলো।
সাবির ভাই কোন ভাবেই ছাড়তে রাজিনা। আমাদেরকে কাজটা দিবেই। উনি বললো, উনি সাহস দিলেন, উনার টিমকেও আমার সহযোগীতাতে নিয়োগ দিয়ে দিবে। ভয় নিয়ে, বড় কিছু প্রত্যাশা না নিয়ে কাজ শুরু করি।
৩ মাস পরে ২০২৫ জানুয়ারীতে মান্থলি মিটিং এ উনার ফিডব্যাকটা শেয়ার করছি:
  • কাজী সাবির ভাই জানালেন, উনাদের ৩ বছরের বিজনেস ইতিহাসে যেটা সর্বোচ্চ সেল ছিলো, সেটারও প্রায় ৩ গুণ বেশি সেল পেয়েছেন এই ডিসেম্বরে। আমাদেরকে দেওয়া মান্থলি টার্গেটের চাইতেও অনেক বেশি ছিলো এ সেল।
  • যে ডিসেম্বর মাসে সবার সেলস এর অবস্থা নাকি খারাপ সেই মাসেই প্রতি সেলসের জন্য গড়ে ৬০ সেন্ট খরচ হয়েছে, যেটা এর আগে ১.৫-২ ডলারের নিচে কখনও হয়নি।
  • মিডিয়া জগতের মিনিমাম ৬ জন বড় ব্যক্তি নাকি উনার কাছে খেলবেই বাংলাদেশের বর্তমান কনটেন্ট নিয়ে খুব অ্যাপ্রিসিয়েট করেছেন। জানতে চেয়েছেন, এত সুন্দর কাজগুলো কারা করছে?

উনার মত ব্যক্তির কাছ থেকে এই অ্যাপ্রিসিয়েট আমার জন্য আমার অ্যাজেন্সির জন্য ছিলো একটু ভিন্ন রকম আবেগের বিষয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সফল হতে পেরেছি।
উনি আমাদের ব্যাপারে গত ১ মাস আগে একটা ভিডিও ফিডব্যাক দিয়েছিলো, সেটা খুব শীঘ্রই আমরা পোস্ট করবো, ইনশাল্লাহ।
আচ্ছা, এবার যারা এতটুকু পর্যন্ত সফলতার গল্পটা পড়েছেন, তাদের জন্য বলি, মূলত, আমাদের প্লানটা কি ছিলো?
১) উনাদের কাজটা হাতে নেওয়ার পর খেলা নিয়ে যাদের আবেগ কাজ করে, তাদের আবেগ বুঝার জন্য ৭ দিন আমি বিভিন্ন খেলোওয়াদের , খেলা সংবাদ, ইউটিউবে খেলার ভিডিওতে কমেন্টগুলো পড়ে সময় কাটিয়েছি, জাস্ট আবেগটা ফিল করার জন্য।

শিক্ষনীয়: আপনারা ব্যস্ত থাকেন, ফেসবুকে অ্যাড চালাতে কি টার্গেট সেট করবেন? আর আমি সময় ব্যয় করি, ওই নির্ধারিত অডিয়েন্সের মন জয় করতে কিভাবে টার্গেট করে কনটেন্ট তৈরি করবো।

২) খেলাপ্রেমীদের সাইকোলজি বুঝার পর এবার প্লান শুরু করি, কিভাবে খেলাপ্রেমী অডিয়েন্সকে খেলাধুলার টপিকস নিয়ে আস্থার জায়গা হিসেবে ”খেলবেই বাংলাদেশ” এর ব্রান্ডের বা কমিউনিটির দিকে কানেক্ট করবো। সেই অনুযায়ি স্ট্রাটেজি প্লানটা সাজাই। সেই অনুযায়ি কনটেন্ট ক্যালেন্ডারটাও রেডি করে ফেলি।

শিক্ষনীয়: আপনাদের ১ম অ্যাকশন প্লানটাই থাকে একটা সেলস কনটেন্ট করে অ্যাড চালাইয়া দিবেন। আর আমরা এমনভাবে স্ট্রাটেজি সাজাই যে, একটা সেলস কনটেন্ট চলতে থাকুক, পাশাপাশি এমন অ্যাক্টিভিটিস প্লান থাকবে, যাতে একটা নিজস্ব অডিয়েন্স গ্রো করে। নিজস্ব অডিয়েন্স গ্রো করতে গিয়ে সকল পোস্ট সেলসের জন্য নয়, অডিয়েন্সকে পেইজের প্রতি বা ব্রান্ডের প্রতি ভালোবাসা তৈরির জন্য স্ট্রাটেজি সেট করি, এই অডিয়েন্সই আমার সেলস কনটেন্টে কনভার্ট হবে।

৩) এবার কনটেন্ট তৈরির পালা। এই ধাপে এসে, মাথাতে রেখেছি, নির্ধারিত একটা ব্রান্ড গাইডলাইন তৈরি করে সেই অনুযায়ি সকল ডিজাইনগুলো রেডি করতে। প্রতিটা ডিজাইন যাতে হয়, হাই কোয়ালিটি প্রো লেভেলের , যার টার্গেটটা ছিলো, ডিজাইনগুলো দেখে যাতে অডিয়েন্সের ১ম ধারণাটা জন্মে যে এই পেইজ অনেক বড় কোন প্রতিষ্ঠিত, ব্রান্ডেড কোন প্রতিষ্ঠিত পেইজ। তাতে ট্রাস্ট লেভেলটা বৃদ্ধি পাবে, সাইকোলজিক্যাল হ্যাকিং করার ১ম স্টেপ এটা। সেই অনুযায়ি আমাদের কাজগুলো ছিলো সবগুলো। পেইজটা (https://www.facebook.com/khelbeibangladesh) ঘুরে আসলে বুঝতে পারবেন।

শিক্ষনীয়: কনটেন্ট করলেই হবেনা, একটা ব্রান্ডেড গাইডলাইন মেনে, প্রো লেভেলের কনটেন্ট তৈরি করতে পারলেই সেলস কনভার্সনটা বাড়াতে পারবেন। তখন ইনবক্সে এসে প্রাইস জিজ্ঞাসা করে চলে যাবে, এই সমস্যা থেকে বেঁচে যাবেন। এই সংক্রান্ত সাজেশন নিয়ে আলাদা ব্লগ (https://contentkingbd.com/ebook-bundle/) লিখেছিলাম, সেটার লিংক থেকে ঘুরে আসুন।

আরও অনেকগুলো প্লান ছিলো, এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, সামনের দিনগুলোতে হয়তো সেগুলোও করা হবে, তখন ফলাফল আরও ভালো হবে। আশা করি, পুরো পোস্ট থেকে আপনার বিজনেসের জন্য ভালো সাজেশন পাবেন। ফলো করলে সফল হবেন।
আপনারা হয়তো বসে আছেন, পুরো পোস্টেতো ফেসবুকে অ্যাড চালাইছি, কিভাবে সেটাতো কিছু বললাম না। ভাই এমন কোন স্পেশাল কিছুই করতে এখন পর্যন্ত মাথা ঘামাতে হয়নি, সফল হয়ে গেছি। খুব আনাড়ী, নতুন একটা ছেলেকে দিয়ে অ্যাড চালিয়ে নিচ্ছি। এই সেলকে আরও স্কেল আপ করতে হলে, পরে হয়তো অ্যাডস নিয়ে স্পেশাল কিছু প্লান করার প্রয়োজন হবে। এখন জাস্ট অটো টার্গেটিং দিয়ে অ্যাড চালিয়েছি, সেলস রেজাল্ট আলহামদুলিল্লাহ।
২ ঘন্টার একটা ক্লাশ ভিডিও শেয়ার করছি, এটাও আপনার সেলস নিয়ে স্ট্রাগল কমাতে অনেক সহায়ক হবে।

2 Comments

  • Mohammed Jasim

    অনেক কিছু শিখতে পারলাম, ধন্যবাদ।

  • M M Hossain

    Simply, its fruitful and supportive. Wish more blogs from you.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *