ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে ওয়েবসাইট, এটা খুব দুর্বল মার্কেটিং কনটেন্ট। বাংলাদেশের সবচাইতে বেশি ট্রাফিকস ওয়েবসাইট প্রথম আলো, তাদেরও ট্রাফিক আনতে ৯০% ফেসবুকের উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে।
যাক, কি যুক্তিতে ওয়েবসাইট থাকা জরুরী, সেটা নিয়ে পরে আরেকটা আর্টিকেল লিখবো। ওয়েবসাইটের মালিক হওয়ার আগে আপনার কিছু প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সেটা নিয়ে আজকের আর্টিকেল।
আপনি যদি ওয়েবসাইট নির্ভর বিজনেস যখন করবেন, তখন আরও কিছু বিষয় নিয়ে আপনার প্রস্তুতি থাকা জরুরী। খুব সামান্য কয়েকটা জরুরী পয়েন্ট এখানে উল্লেখ করছি:
- ওয়েবসাইট সিকিউরিটি মেইনটেইন ,
- সার্ভার সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা
- ওয়েবসাইটি মেইনটেইনেন্স ,
- ডিজিটাল মার্কেটিং
আরও অনেক পয়েন্ট আছে। এ ৪টা পয়েন্ট নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে বলছি এখানে।
১) ওয়েবসাইট সিকিউরিটি মেইনটেইন: নরমাল একটা ব্লগ সাইট তৈরি করেন, সেখানেও সিকিউরিটি সমস্যা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়ে ওয়েবসাইট রাখার আগ্রহ অনেকে হারিয়ে ফেলে। সেখানে একটা ইকমার্স ওয়েবসাইট মানেতো সিকিউরিটি নিয়ে অবশ্যি বিশাল রিস্ক নিয়ে মাঠে নামা উচিত। না হলে দেখবেন সব কষ্ট একরাতে মাটি হয়ে গেছে। টাকা ভেনিস হবেনা, সেটা নিয়ে টেনশন করার দরকার নাই। কিন্তু কষ্ট করে যা পোস্ট করছেন, সব ভেনিস হয়ে যাবে এক রাতে।
২) সার্ভার সংক্রান্ত সমস্যাঃ ওয়েবসাইট নেওয়ার পর যে যন্ত্রনা সবচাইতে ভোগায়, সেটা হচ্ছে সার্ভার সংক্রান্ত সমস্যা। সার্ভার অফ হয়ে ওয়েবসাইট নাই হয়ে যাওয়া, স্লো লোডিং ইত্যাদি। চিন্তা করেন, আপনার অ্যাড চলছে, ওই মুহুর্তে হঠাৎ ওয়েবসাইট নাই হয়ে গেলো কিংবা ফেসবুকের লিংকে ক্লিক করে অনেকেই ল্যান্ডিং পেইজে ঢুকতে চেষ্টা করছে, কিন্তু ল্যান্ডিং পেইজ লোড হতে এত টাইম লাগছে যে, তার সেই ল্যান্ডিং পেইজে ঢুকার আগ্রহটাই নাই হয়ে গেলো, সে আর সেই ল্যান্ডিং পেইজে আর ঢুকলো না। তাহলে এভাবে ফেসবুকে কত পরিমান অ্যাড খরচ বেড়ে গেলো, অ্যাড বাজেট কত নস্ট করছেন, সেটা ক্যালকুলেট করলে কত বিশাল একটা লস এর অংক বের হবে, সেটা সেদিন একজন উদ্যোক্তা থেকে পেয়ে চমকে উঠলাম।
৩) ওয়েবসাইট মেইনটেইনেন্স: ওয়েবসাইট থাকলে এটা নিয়েও আপনাকে মাথাতে ধারনা থাকা উচিত। ওয়েবসাইটের মালিক হইছেন, দুইদিন পর পর ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। নতুন নতুন রিকোয়েরমেন্ট ভাবনাতে আসবে, সেগুলো করতে গিয়ে খরচ খরচ করতে কত টাকা যে আপনার পকেট থেকে বের হয়ে যাবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই মনে হবে, “আগেইতো ভালো ছিলাম। ”
৪) ডিজিটাল মার্কেটিং: আপনার ওয়েবসাইট হলো, সেখানে ট্রাফিক আসবে কোথা থেকে,কারা ঢুকছে, কি করছে, আপনার ওয়েবসাইটে অডিয়েন্সদের আচরণ কি, সেগুলোকে অ্যানালাইস করতে বিভিন্ন ধরনের ট্রাকিং করতে প্রয়োজন হয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনে। আর এর জন্য যে ট্রাকিংটা ব্যবহার করতে হয়, সেটা হচ্ছে সার্ভার সাইড ট্র্যাকিং। এই সার্ভার সাইড ট্র্যাকিং এর জন্য মাসে মাসে মিনিমাম ২০ ডলার অর্থাৎ ২৬০০ টাকা ফিক্সড খরচ করতে হয়। বছরে ৩১ হাজার ২০০ টাকা গুণতে হবে। এই বাজেট যাতে মাথা থেকে হারিয়ে না যায়, এই খরচগুলো করার ব্যপারে মানুষিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কথা বলছি আর কি।
ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
উপরের সতর্কতাগুলো এ কারনে বললাম, অভিজ্ঞতার আলোকে দেখেছি, ৯৫% মানুষ টাকা খরচ করে বিপুল উৎসাহে, অন্যের মোটিভেশনে ডোমেইন হোস্টিং কিনে, ওয়েবসাইট রেডি করে কিন্তু পরের বছর আর রিনিউ করে না। কারন ওয়েবসাইটটা ব্যবহার করতে গিয়ে যে ভোগান্তি আবার যে খরচ করতে হচ্ছে, তা দিয়ে তেমন লাভবান হচ্ছেনা।
এবার উপরের সমস্যাগুলোর খুবই সহজ সমাধান দিচ্ছি:
৪টা সমস্যারই সহজ সমাধান রয়েছে Storex অটোমেশন সিস্টেমে।
আনলিমিটেড ডাটা সার্ভার সাইড ট্রেকিং এর মাধ্যমে ট্রেকিং করা যাবে সম্পূর্ণ ফ্রিতে। বছরে বেঁচে গেলো ৩১ হাজার ২০০ টাকা। ওয়েবসাইট মেইনটেইনেন্স নিয়ে প্যারা নাই। 1-1 ফ্রি সাপোর্ট দিচ্ছে সবসময়। গত ৩ বছরে তাদের সার্ভারে সমস্যা হয়েছে মাত্র ১ বার। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সেটার সলিউশনও করা হয়ে গেছে। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের চাইতে ১০ গুণ বেশি প্রটেক্টেড সিকিউরিটি সিস্টেম ম্যানেজ করা হচ্ছে দক্ষ ডেভেলপার দ্বারা।
এগুলোর বাহিরেও রয়েছে আরও অনেক অনেক কিছু। সেগুলো নিয়ে এখানে বলছিনা, সেটা তাদের বিজ্ঞাপনে গিয়ে দেখে নিতে পারেন।
বরং এবার দামটা নিয়ে কিছু বলি।
দামটা কত শুনতে চান? অবিশ্বাস্য হবে সেটা।
তারা এখন ১ মাসের জন্য একটা অবিশ্বাস্য অফার দিচ্ছে। মাত্র ৪৯৯৯ টাকাতে পাবেন তাদের ওয়েবসাইট। হোস্টিং সার্ভিসসহ। অর্থাৎ লাখ টাকার ওয়েবসাইট , এ মাসে বিশেষ ক্যাম্পেইনে পাবেন, মাত্র ৪,৯৯৯ টাকাতে। জাস্ট ১টা ডোমেইন নিজের টাকা দিয়ে কিনে নিবেন। বছরে বছরে রিনিউ করবেন সমপরিমান টাকা দিয়েই।