আইটি সেক্টরে যে হারে কাজ শিখতেছে ওই হারে কাজ পাওয়া কি সম্ভব??
এটার উত্তর হচ্ছে, কাজ শিখছে অনেকে, কিন্তু স্কীল হচ্ছে ৫% এর বেশি না। তা দিয়ে বাজার চাহিদার ১০% ও ফিলাপ হচ্ছেনা ।
স্কীল হওয়ার স্টেপ হচ্ছে:
নিজের ভালো লাগার জায়গাটা খুজে বের করুন। অন্য কেউ গ্রাফিক ডিজাইনে সফল হয়েছে দেখে আপনিও গ্রাফিক ডিজাইন শিখার জন্য সিলেক্ট করলে সফলতা পাবেন না। কারও নেশাকেই যদি পেশাতে কনভার্ট করা সম্ভব হয়, তাহলে পুরোই ছক্কা। তখন লাইফের পুরোটা সময়ই হানিমুন পিরিয়ড হিসেবে ইনজয় করতে পারবেন।
মেন্টর বা ট্রেনিং সেন্টার কিংবা অনলাইন প্লাটফর্মের সহযোগীতায় কোর্স শুরু করলেন। টাকার অভাবে কারও দক্ষ হওয়া থেমে থাকেনা। অজুহাতের কারনেই মানুষ দক্ষ হতে পারেনা। ইউটিউব দেখে কিংবা অনেক রেকর্ডেড কোর্স আছে, যেগুলো কম টাকা দিয়েই কেনা সম্ভব। সেগুলো দেখেই স্কীল হতে পারেন। তবে কাজ শিখতে যাতে দেরি না হয়,, সেজন্য সম্ভব হলে কোন মেন্টরের ট্রেনিং এ ইনভেস্ট করতে পারেন। যেই ইনভেস্ট আপনার জন্য ৫০ গুন হয়ে ফেরত আসার সুযোগ রয়েছে, সেই ইনভেস্ট না করাটাই জীবনের সবচাইতে বোকামি।
বিশ্বাস করেন, যাদের সফল দেখছেন, তারা ক্লাশে যা যা শিখেছেন, সেই টপিকসে অনলাইনে আরও রির্সোর্স নিয়ে ঘাটাঘাটি করার অভ্যাস গড়ে তুলেছিলো। এ অভ্যাসের কারনে তাদের কত রাতের ঘুম যে হারাম করেছে, এ খবর কতজন রাখে। আর যাদের ব্যর্থতার গল্পগুলো দেখেন, তাদের বেশির ভাগ ক্লাশ করে এসেই দামি গাড়ির স্বপ্ন দেখতে দেখতে বিছানাতে গা এলিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে যেতো।
কোর্স শেষের পর থেকে মেন্টরের গাইডলাইন অনুযায়ি কেউ ২০০ ঘন্টা consistency প্রাকটিস করলে, দক্ষতা না হয়ে যাবে কোথায়। দক্ষতার বাপ-দাদা সবাই সেই ব্যক্তির পা ছুয়ে কুর্ণিশ করতে বাধ্য। একদিন ৪-৫ ঘন্টা শিখলেন, আবার ১০দিন পর বসলেন, তাহলে নিশ্চিত থাকেন, আপনি দক্ষ হবেন না, সমালোচক হবেন, কোর্স নিয়ে বিশাল বিশাল সমালোচনা করার দক্ষতা দিয়েই আপনাকে তখন বেঁচে থাকতে হবে।
প্রাকটিক্যাল দক্ষতা আরেক বিষয়। নিজের প্রাকটিস করার পর আশেপাশের কিছু মানুষকে নিজের ক্লায়েন্ট বানিয়ে তাদের কিছু কাজ করে দিন। মিনিমাম ২০টা প্রজেক্ট শেষ করে দিন। এতে ক্লায়েন্টকে খুশি করাটা শিখবেন, সাথে পোর্টফলিওতে যুক্ত করার মত অনেক কিছু কাজ রেডি হবে। পোর্টফলিও ছাড়া কারও কাছে কাজের জন্য গেলে সে আপনাকে কাজ দিতে কখনই সাহস করবেনা। তাই এটা রেডি করা জরুরী।
ধরে নেই, এতক্ষনে প্রফেশনালমানের একটা পোর্টফলিও রেডি করা শেষ। এরপরও ব্যর্থ হয়। কারন কাজের সোর্স হিসেবে একটি সোর্সেই সকল প্রচেষ্টা করা। মার্কেটপ্লেস, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, লোকাল জব, কিংবা অন্যকে সার্ভিস দেওয়ার বিজনেস যেভাবে পারেন ইনকাম করতে নেমে পড়েন। এতদিনে যা দক্ষতা অর্জন করেছেন, সেটাকে এবার ক্যাশে কনভার্ট করতে নামার স্টেপ এখন থেকে শুরু।
এই যে যা যা স্টেপগুলো বললাম, এই স্টেপগুলো অনুসরণ করে মাত্র ৫% , তাই তারা পরে স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়তে পারে, বাকি যে ৯৫% ব্যর্থদের দেখছেন, তারা ব্যর্থ হয়ে ট্রেনিং বা কোর্সের কঠিন সমালোচক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়া শুরু করে দেয়। তাদের ব্যর্থতার কারন বেশির ভাগক্ষেত্রেই এটাই ঘটে যে, তারা ১ম এবং ২য় স্টেপ শেষ করেই সুন্দর একটা বউকে নিয়ে কল্পনাতে ওয়াল্ডট্যুরে বের হয়ে যায়। প্রাকটিস বাদ দিয়ে এই কল্পনা নিয়ে সারারাত গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলেই সময়টা শেষ করে দেয়।
—-
কনটেন্ট কিং কোর্সটাও এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যা শিখলে বর্তমান যুগের সবচাইতে স্মার্ট চাকুরি ফেসবুক মার্কেটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। ফেসবুকের নেশা যেহেতু সবার, তাই এই নেশাকে পেশাতে কনভার্ট করতে চাইলে চোখ বন্ধ করে এই কোর্সটাতে সময় ব্যয় করার টার্গেট নিতে পারেন। এই কোর্সটা করে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন, ৩ উপায়ে। উদ্যোক্তা হিসেবে, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কিংবা স্মার্ট চাকুরিতে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
2 Comments
Muhammad Tanvir Hossain
October 23, 2023Thank you, Ekram Vai, for sharing this article
Muhammad Tanvir Hossain
October 23, 2023Your words are perfectly expressed, Ekram Bai