Directly contributed to the IT skills development of around 20,000 people and indirectly around 30,000 people. The opportunity to play a role in the branding and business development of over 200 organizations

Get In Touch

ভিলেজ উইথ শম্পা চ্যানেলের শম্পা তার ইউটিউব চ্যানেলের অডিয়েন্সদের কাছে গুড় বিক্রি করছে, এরকম বিষয় নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি ব্যপক আগ্রহ তৈরি করেছে অনেকের মনে। তাই অনেক উদ্যোক্তা আগ্রহ দেখাচ্ছে এ বছর তারাও ইউটিউবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে চায়। যারা আগ্রহী, তাদেরকে একটা বিষয় লক্ষ্য করতে বলছি, ঐ চ্যানেলটির শম্পা গুড় বিক্রি করেছে দেখে তার চ্যানেলের সব ভিডিও গুড় নিয়ে না। সে নিয়মিত গ্রাম্য লাইফস্টাইল নিয়ে ভিডিও দিয়ে যাচ্ছে, তাতে তার বিশাল একটি ফ্যান গোষ্ঠি তৈরি হয়েছে। তাদের কাছেই মাঝে মাঝে বিভিন্ন অথেনটিক প্রোডাক্টগুলো বিক্রির জন্য পোস্ট করছে।  আর এর বাহিরেও  ইউটিউব  এবং ফেসবুক থেকেও মাসে বড় অংকের একটি টাকা ইনকাম করছে। যারা ভিলেজ উইথ শম্পার গুড় বিক্রির কেস স্টাডি নিয়ে লেখাটি পড়েননি, তাদের জন্য লিংকটি এখানে।

এখন সবার প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি টপিস নিয়ে চ্যানেল খুলবো। সেই টপিকস সমস্যা দূর করার জন্যই আজকের এ লেখাটি। অনেক সময় নষ্ট করে আপনাদের জন্য ১৫টি এমনসব বাংলা চ্যানেলের নাম খুজে বের করেছি, যেগুলোতে দেখতে পাবেন, খুব সময় নষ্ট না করে, কিংবা ঘরে বসে, কিংবা কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই, কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।  এখানের যেকোন  একটি আইডিয়া হতে পারে, আপনার চ্যানেলের কনটেন্ট। আপনাদের জন্য এ লিস্ট তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। যদি প্রতিদান হিসেবে এ লেখাটি পড়ার পর আপনার ওয়্যালে শেয়ার করেন, তাহলে অত্যন্ত খুশি লাগবে, যা পরবর্তীতে এরকম আরও কনটেন্ট তৈরিতে আমাকে উৎসাহিত করবে।

১) আদ্যোপান্ত:

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/c/ADYOPANTO

৫ লাখ সাবস্ক্রাইভারের এ চ্যানেলটিতে পৃথিবীর বিভিন্ন আকর্ষনীয় দেশ, সমুদ্র কিংবা আরও অনেক সব আকর্ষনীয় তথ্য নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করা হয়। কোন ভিডিও শ্যুট করতে ঘরের বাহিরে যায় না তারা।  নিজের কম্পিউটার টেবিলে বসেই ইউটিউব থেকে নেওয়া বিভিন্ন ফুটেজ যুক্ত করে এবং চেহারা না দেখিয়ে শুধুমাত্র নিজের ভয়েসটা কাজে লাগিয়েই এ ভিডিওগুলো তৈরি করা হয়। তথ্যগুলো অনলাইনে বিভিন্ন জায়গাতে খুজলেই পাওয়া যায়, সেগুলোকেই নিজের মত ব্যবহার করে ভিডিও বানিয়ে ফেলে। যারা চেহারা দেখানোর ভয়ে ভিডিও করতে পারছেন না, তাদের জন্য এটা খুব সহজ একটি আইডিয়া হতে পারে।

২) এস বিকাশ ব্লগস

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/c/SBIKASHVLOGS

বান্দরবনের স্থানীয় একজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি প্রতিনিধি এস বিকাশ ২০২১ এর শুরু দিক থেকে বান্দরবনের বিভিন্ন স্থানীয় জীবনযাত্রা যেগুলো বাহিরের মানুষদের দেখা সম্ভবনা, সেগুলো নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কনটেন্ট বানিয়ে যাচ্ছে।  তারা কিভাবে বিয়েতে আনন্দ করে, স্থানীয় মেলা, বন্ধুদের আড্ডা, বন্ধুদের সাথে পিকনিক সহ সব কিছু তার চ্যানেলে দেখা যায়। খুবই আনাড়িভাবে শুট করা। তারপরও দিনে দিনে ভাল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চ্যানেলটি। যেকোন ট্যুরিস্ট এরিয়ার স্থানীয়দের সকাল হয় কিভাবে, কি কি করে তারা উৎসবগুলোতে এসব নিয়ে অন্য জেলার সকলের আগ্রহ খুবই বেশি। সেই আগ্রহের কথা মাথাতে রেখেই এস বিকাশ এ চ্যানেলের যাত্রা করে। যারা কক্সবাজারে আসেন, তারাও একই কাজ করলে খুবই খুবই আগ্রহী দর্শক পাওয়া যাবে, আপনার চ্যানেলটিতে।

৩) ফরচুন্যাট গেস্ট:

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/channel/UCeblY_vy8eRr4O8r_gfxaqA/

মানবিকতাকে নিদর্শনকে  এ চ্যানেলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। প্রতি শুক্রবার কোন একজন গরীব মানুষের বাসাতে তাদের ইচ্ছাতে অনেক ভালো খাবার নিয়ে যাওয়া হয়, সেই বাসাতেই পরিবারের সবাই মিলে রান্না করা হয়, পরে ১৫-২০ মিলে খাওয়া হয়, আর ১মাসের জন্য বাজারও হাত খরচ দিয়ে আসে হাতে। এ চ্যানেলটি পরিচালিত হয় কুষ্টিয়া থেকে। এরকম পুরো গ্রামের সবাইকে খাওয়ানোর আরও ৫-৭ টি চ্যানেল এ কুস্টিয়াতে পরিচালিত হয়। তার মধ্যে সেখানের একটা গ্রামকে বলা হয় ইউটিউব চ্যানেল, যেটা সারাবিশ্বে এ নামে প্রচলিত।  ইউটিউবে তাদের এ কাযক্রমে খুশি হয়ে দেশ বিদেশের অনেকেই ডোনেট করে, তাদের মাধ্যমে অনেক গরীব মানুষের জন্য অনেক খাওয়াদাওয়া সহ আরও অনেক সহযোগীতা পাচ্ছে। অনেকের বাড়ি,  ইনকামের জন্য রিকশা কিংবা সেলাই মেশিনসহ অনেক কিছু দান করা হয়। ইউটিউবের ইনকাম, অনেকের কর্মসংস্থান, অনেক গরীবকে সহযোগীতাসহ অনেকগুলো কাজ এক চ্যানেলের কল্যানে হয়ে যাচ্ছে।

৪) হ্যালো জুয়েল

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/c/HelloJewel

এ চ্যানেলের ভিডিওগুলো টেবিলে বসে হয়ে যাচ্ছে। দেশের অনেক উন্নয়ন কাযক্রমের ফুটেজ নিয়ে নিজস্ব উপস্থাপনাতে ভিডিও দিচ্ছে। যদিও অনেকগুলো নিজের ঘুরাঘুরির ভিডিও আছে। হয়ত, কোথাও ঘুরতে গেলে ভিডিও শুট করে নিয়ে আসছে, সেটি চ্যানেলে আপলোড করছে।  এ চ্যানেলটিও অনেক ভাল জনপ্রিয় একটি চ্যানেল।

৫) লিভিং ইন দ্যা স্লামস:

চ্যানেলটি লিংক:  https://www.youtube.com/channel/UC2xMwU_TfNdGCACqSpT7VUg

ফুটপাতে কিংবা রেল লাইনের পাশে ছোট অস্থায়ি ঘর বানিয়ে যেসব মানুষজন থাকে, তাদের পরিবারের দৈনন্দিন কাযক্রমকে এ চ্যানেলের ভিডিওতে তুলে ধরা হয়। একদম লাইফস্টাইল চ্যানেল টাইপ ভিডিও। রান্নাবান্না, বাজারঘাট করা সব কিছু যা ওই পরিবারের প্রতিদিনের কাজ, সব রেকর্ড করে সেই ভিডিও চ্যানেলে দেওয়া হয়। এ কনসেপ্ট আমার কাছে পছন্দ হয়েছে। চাইলে আপনারাও আপনার আশেপাশের এসব শুট করে নিয়ে এসে ধারাবাহিকভাবে চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন।

৬) ভিল ফুড

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/c/villfood

ইন্ডিয়ার কোন এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এ চ্যানেলটি পরিচালিত হয়। ১৮ লাখ সাবস্ক্রাইভ চ্যানেলটিতে। গ্রামের এক ৮৫-৯০ বছর বয়স্ক মহিলা একদম ট্রাডিশন্যাল পদ্ধতিতে মাটির চুলাতে রান্না করে। এ বয়স্ক মহিলা রীতিমত হিট একজন মহিলা। আধুনিকতাতে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম্য রান্না এবং ৮৫-৯০ বছরের মহিলার করা রান্না, দুই মিলে মানুষের ইমোশনে টাচ করার মত একটি চ্যানেল হয়ে উঠেছে এটি। খুবই সাধারণ উপস্থাপনা। এটাও অনেকের জন্য ভালো কনসেপ্ট হতে পারে।

৭) গ্রীন প্রোডাকশন:

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/channel/UCEwvGQLWdWzLfboqLIqG8wA/

”সাপোর্ট হিউমিনিটি” স্লোগানকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ চ্যানেলের ভিডিওগুলো তৈরি হয়। রাস্তাতে গিয়ে খুব গরীব কোন মানুষকে ধরে তাকে খুব অল্প খরচে ওই দিনের জন্য সহযোগীতা করা হয়। এটাকে অনুমতি নিয়ে ভিডিও করে, যা দেখে দেশ বিদেশের অনেকেই দরিদ্রদেরকে সহযোগীতা করতে আগ্রহী হয়ে উঠে। অনেকে তাদের মাধ্যমে অনেক গরীবদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কাজে সহযোগীতা করে। অসাধারন জনপ্রিয় চ্যানেল। এই আইডিয়া নিয়েও যে কেউ চ্যানেল চালাতে পারেন।

৮) স্ট্রীট ফুড হান্টিং

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/c/StreetFoodHunting

এ চ্যানেলটিতে জাহাঙ্গীর নগরের ২জন বা ৩জন মিলে পরিচালিত হয়। তারা বিভিন্ন জায়গাতে কিংবা বন্ধুরা আড্ডা দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে, সেটাই ভিডিও করে। মজার বিষয় হচ্ছে, দর্শকদের জন্য তারা কোন কথাবার্তা বলেনা। ভালো কথা বলতে পারিনা, ক্যামেরাতে বক বক করতে লজ্জা লাগে, এ ধরনের অজুহাতে যারা এখনও ইউটিউবে ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারছেন না, তাদের কনফিডেন্ট বাড়াবে এ চ্যানেলের ভিডিও গুলো। কোন কথা ছাড়া স্ট্যান্ডে ক্যামেরা বসিয়ে তার সামনে শুধু খেয়ে যাচ্ছে, আর সেটা এত ব্যাপকভাবে মানুষজন পছন্দ করছে, সেটার উদাহরন এটি। শুধু খাওয়া না। তার মানে কথা ছাড়া আরও যেকোন কিছুই ভিডিও নিয়েই আপনার চ্যানেলটি হতে পারে।

৯) জিরোওয়াট ফিল্মস

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/channel/UCuiXLOzWADyFdf8wOjyUeow/

কলকাতার খুবই জনপ্রিয় একটা ফুড ব্লগিং চ্যানেল। এটাকেও লিস্টে নিয়ে আসার কারন হচ্ছে, এখানের ভিডিওগুলো সব ঘরে বসে করা। মায়ের হাতের রান্না মা বেড়ে দিচ্ছে, জিরোওয়াট ফিল্মসের সৌম্য সেটা খাচ্ছে, আর আরেকজন সেটা রেকর্ড করছে। সপ্তাহে ২-৩টা ভিডিও দেয়। বাসাতে যা খায়, পানি ভাত খাওয়া থেকে শুরু করে যা খায়, সেগুলাই ভিডিও হিসেবে ইউটিউবে চলে আসে। আপনারাও বাসাতে খাওয়াদাওয়া করছেন। এই কনসেপ্টে বাসাতে খুব নরমালভাবে ভিডিও করতে পারেন, আপনার চ্যানেলের জন্য। মানুষ ব্যাপক পরিমানে পছন্দ করছে।

১০) লাবিদ রাহাত

চ্যানেলটির লিংকঃ https://www.youtube.com/c/LabidRahat

ইতিহাসের বিভিন্ন টপিকস নিয়ে বিভিন্ন বই পড়ে তথ্য নিয়ে ঘরে বসেই তার নিজস্ব ঢং য়ে উপস্থাপনের মাধ্যমে অজানা তথ্যগুলো তুলে ধরছে বুয়েটের ৩য় বর্ষে পড়া এ ছেলেছি । কোথাও ক্যামেরা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি নাই। ভিডিওগুলো যা ভাবে দিচ্ছে, সেগুলো একটু প্রো লেভেলের করছে যদিও। কিন্তু শুরু করতে নরমাল ভিডিও দিয়েই  আপনারাও যে কোন টপিকসের উপর এরকম ভিডিও করতে পারেন। শুধুমাত্র ইতিহাস নয়, অন্য যেকোন টপিকস নিয়ে এরকম কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, আপনার চ্যানেলের জন্য।

১১) বিচিত্র মানুষ:

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/channel/UC6fD8tkWP-CKJSAbcGLyjlQ

এ চ্যানেলে মূলত জেলেদের সারাদিনের কাযক্রমগুলোই ভিডিও শুট করে চ্যানেলে দেওয়া হয়। যাদের এরকম সুযোগ আছে, গ্রামে থাকেন, কোন জেলে ভাইয়ের সাথে কন্টাক্ট করলেন, সেগুলো শুট করে সে ভিডিও নিয়ে চ্যানেল খুলতে পারেন। মানুষজনের এসব ভিডিওর ব্যাপারে আগ্রহ ব্যাপক।

১২) নট আউট নোমান

চ্যানেলটি লিংক: https://www.youtube.com/c/NotoutNoman

এ চ্যানেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে বিভিন্ন বিশ্লেষন, সমালোচনা, নিউজ পাবেন। ব্যাপকমাত্রাতে জনপ্রিয় হয়েছে এ চ্যানেলটি। যারা সুন্দরভাবে কথা বলতে পারবেন, এ যোগ্যতাকে অবহেলা না করে এরকম একটি চ্যানেল খুলতে পারেন। ক্রিকেট নিয়েই হতে হবে, তেমন কথা নয়। শিশু বিষয়ক, প্যারেন্টিং বিষয়ক, স্বাস্থ্য বিষয়ক, কিংবা প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বিশ্লেষন সমালোচনা কিংবা সর্বশেষ তথ্য নিয়েই করতে পারেন এরকম ভিডিও। কোন দ্বিতীয় মানুষের সহযোগীতা লাগবে না। স্ট্যান্ডে ক্যামেরা বসিয়ে শুট করে ফেলবেন, খুব বেশি এডিট করাও লাগবেনা, সেটি আপলোড করে দিবেন।

১৩) বাংলাদেশি বিক্রমপুর ভ্লগার:

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/channel/UCgUOOFrrpZ8WIhX14QTlNpw/

চেহারা দেখানো ছাড়া যে  ইউটিউব চ্যানেল করা যায়, সে ব্যপারে অজুহাত দূর করতে এ চ্যানেলের ভিডিওগুলো অবশ্যই দেখার অনুরোধ রইলো। বিক্রমপুরের একজন মহিলা, তার দৈনন্দিন জীবনের কাযক্রম নিয়ে এ চ্যানেলটিতে ভিডিও দেয়। চেহারা দেখায় না। রান্না, বাজার, মেহমানদারি , ঘর গুছানো এগুলোই এ চ্যানেলের কনটেন্ট। তাই এ চ্যানেল কনটেন্ট নিয়ে চিন্তা করতে হয় না, স্ক্রীপ্টও লিখতে হয়না। কি সহজ কাজ। আইডিয়াটা আপনারাও নিতে পারেন।

১৪) ভয়েস অব বাংলা:

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/c/VoiceofBangla24/

এ চ্যানেল ইসলামিক ইতিহাসগুলো শুধুমাত্র বই পড়ার মত করে পড়া হয়। চার খলিফাদের উপর লেখা বই সহ অন্যান্য যেসব বই আছে, সেগুলো পড়া হয়। কে পাঠ করে , তাকে দেখা যায়না। ভিডিওতে মরুভুমির কিংবা এ টাইপ কোন ছবি প্রদর্শন করা হয়। একেকটা ভিডিও ৪-৬ ঘন্টা ব্যাপী হয়ে থাকে। অর্থাৎ একটা বই পড়া শেষ করতে যত টাইম লাগে, ততক্ষন ধরে পড়া হয়। চেহারা না দেখিয়ে এরকম পড়ে পড়ে ভিডিও আইডিয়া হতে পারে এটি। ইসলামের ইতিহাস নির্ভর হতে পারে, কিংবা অন্য যেকোন টপিকস নির্ভরও হতে পারে, যা মানুষজন পছন্দ করবে। আমি নিজেও মাঝে মাঝে ঘুমানোর সময় চালিয়ে শুনতে শুনতে ঘুমাই।  সাবস্ক্রাইভার সংখ্যা আর প্রতিটা ভিডিওর ভিউ সংখ্যা দেখে বুঝা যায়, মানুষজন ব্যপক পছন্দ করছে  এ চ্যানেলটির ভিডিওগুলো।

১৫) কি কেন কিভাবে?

চ্যানেলটির লিংক: https://www.youtube.com/c/KiKenoKivabe

বিভিন্ন তথ্য নিয়ে এবং  অনলাইন থেকে বিভিন্ন ফুটেজ নিয়ে তথ্য ভিত্তিক  এ চ্যানেলের ভিডিওগুলো তৈরি করা হয়। এসব তথ্যগুলো অনলাইনে প্রচুর পাওয়া যায়, এমনকি প্রতিদিনের প্রথম আলো পড়েই সে তথ্যগুলো দিয়ে আপনিও অনেক সহজে এ ভিডিওগুলো তৈরি করতে পারেন। সপ্তাহের দুদিন করে ভিডিও পোস্ট করলেন। মানুষজন ভালো পছন্দ করবে। এ চ্যানেলের ভিডিওগুলো কিছুটা প্রো লেভেলের। কিন্তু আপনি এরকম চ্যানেলের পরিকল্পনা করলে, শুরুতে নরমালভাবেই ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

উপরের লেখাগুলো পড়া শেষ করার পর, সময় নস্ট না করে, এ সপ্তাহেই নেমে যান নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। এ আইডিয়াগুলো পাওয়ার পর কোন অজুহাত আর দেখানোর সুযোগ নাই। সবচাইতে ভালো হয়, ২-৩ জন পার্টনার হয়ে চ্যানেল তৈরি করার উদ্যোগ নিন। তাহলে একেকজন একেক দক্ষতাকে কাজে লাগানো যাবে। সময় ব্যয়টা কমে আসবে। কাজ করতে করতে ভিডিওর কোয়ালিটি ইমপ্রভ করবে। তাই সেটি নিয়ে চিন্তাতে পড়ে শুরু করতে সময় নস্ট করে বোকামি করলে নিজের ক্ষতি। ধৈয্য ধরে নিয়মিত (সপ্তাহে দুদিন) ভিডিও আপলোড করুন। সেগুলো সোশ্যালমিডিয়াতে শেয়ার করুন। আশা করি, বছর শেষে ইন্সপারেশন পাওয়ার মত অনেক কিছুই পাবেন নিজের চ্যানেলটি থেকে।

আপনাদের যেকোন সহযোগীতার জন্য আমার ফেসবুকে পেইজে (https://www.facebook.com/ekram0007) ইনবক্সে নক দিন।

1 Comment

  • tanjina tany

    এত এত আইডিয়া আপনি দিচ্ছেন আমি তবুও কজে লাগাতে পারছি না।এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না।তবে এবার আর কোন অজুহাত নয়।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *