Directly contributed to the IT skills development of around 20,000 people and indirectly around 30,000 people. The opportunity to play a role in the branding and business development of over 200 organizations

Get In Touch

ফেসবুক অ্যালগরিদম আপডেটের কারনে ফেসবুকে যেকোন পোস্টের পোস্ট রিচ একদম কমে গেছে, যার কারনে খুব হতাশ ফেসবুক নির্ভর উদ্যোক্তাসহ সবাই। এ অবস্থাতে আপনার কি করনীয় সেটি নিয়ে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মার্ক জুকারবার্গ ৭টি পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শগুলো পড়ে মিলিয়ে নিন, কোন কোন পরামর্শগুলো আপনি স্কিপ করে যাচ্ছেন, সেগুলোকে আপডেট করুন, ফলাফলে পরিবর্তন পাবেন।

মার্ক জুকারবার্গ বলেছেন,

আপনার ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির পোস্টগুলো এবং যে পোস্টগুলোতে অর্থবোধক অ্যাংগেজমেন্ট আছে, এরকম পোস্টগুলোকে ফেসবুক রিচ বাড়িয়ে দিবে।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ৭টি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন।

  • ১) সর্বশেষ কোন পোস্টটি প্রকাশিত হয়েছে?
  • ২) পাবলিশার কত ঘন ঘন পোস্ট করছে?
  • ৩) পোস্টটির লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার সংখ্যা হিসেব
  • ৪) ফেসবুক ব্যবহারকারী কার কিংবা কোন পেইজের পোস্টে যুক্ত থাকেন।
  • ৫) আগে কোন ধরনের পোস্ট করেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারী
  • ৬) পোস্টে নেগেটিভ ফিডব্যাকও হিসেবে থাকে।
  • ৭) সেই পোস্টটি অন্যদের জন্য কতটা উপকারী সবগুলো

পয়েন্টের ব্যাখ্যাটা পড়লেই আপনার করনীয় ঠিক করে নিতে পারবেন।

পয়েন্ট-১: সর্বশেষ পোস্টকেই ফেসবুক আপনার নিউজফিডে শো করবে। অর্থাৎ আপনি আপনার পেইজে একটা পোস্ট করলেন সকালে। যে বিকাল বা রাতে ফেসবুকে ঢুকেছে, সে তার প্রোফাইলে অন্য পেইজগুলোর পোস্ট দেখবে, যেগুলো হয়ত কিছুক্ষণ আগে পোস্ট করা হয়েছে, কিন্তু আপনার পোস্ট তার প্রোফাইলে দেখাবে না।

পরামর্শ: পেইজে বা প্রোফাইলে বা গ্রপে প্রতিদিন মিনিমাম ৫টা পোস্ট করা উচিত। ভাল হয় যদি ৭টা পোস্ট করতে পারেন।

পয়েন্ট-২: আপনি যদি গ্রপে কিংবা পেইজে কিংবা প্রোফাইলে নিয়মিত পোস্ট না করেন, হঠাৎ হঠাৎ একদিন পোস্ট করেন, তাহলে আপনার পোস্টকে ফেসবুক রিচ কমিয়ে দিবে। বরং যে দিনে ৩-৫টা করে পোস্ট করে এবং প্রতিদিন পোস্ট করে, তার পোস্টকে ফেসবুক গুরুত্ব দেয়।

পরামর্শ: আপনার পোস্টের রিচ বাড়াতে চাইলে গ্রপে, প্রোফাইলে এবং অবশ্যই পেইজে প্রতিদিন ৫-৭ টা করে পোস্ট করবেন।

পয়েন্ট-৩: কোন পোস্টের লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার কি পরিমান রয়েছে, সেটির উপর ফেসবুক পোস্টটির গুরুত্ব বুঝার চেষ্টা করে। এর মধ্যে শেয়ার এর ভ্যালু বেশি, ২য় হচ্ছে কমেন্ট, ৩য় হচ্ছে লাইক। অর্থাৎ ধরেন আপনি একটা পোস্ট করলেন, সেটি ২০জনের কাছে রিচ করলো, কেউ একজন (আপনি নিজে করলে হবেনা) সেই পোস্ট শেয়ার করলো, তাহলে সেই পোস্ট আরও ১০জনের কাছে রিচ করবে। কেউ কমেন্ট করলে বাড়বে ৫জন এবং লাইক দিলে রিচ বাড়বে ৩জনের কাছে।

পরামর্শ: এমন পোস্ট করুন, যাতে মানুষজন কমেন্ট করতে বাধ্য হয়, এবং শেয়ার করতে আগ্রহী হয়।

পয়েন্ট-৪: আপনার পেইজের আগের পোস্টগুলোতে পেইজের যে মেম্বার কোন ধরনের অ্যাংগেজ ছিলোনা, সেই পেইজের পোস্টকে আর সেই মেম্বারের নিউজফিডে আর প্রদর্শন করবেনা। অর্থাৎ ধরেন আপনার অনুরোধে আমি আপনার পেইজটি লাইক দিলাম। লাইক দেওয়ার পর আপনার পেইজের পোস্ট ৩বার আমার ওয়্যালে প্রদর্শন করাবো। যদি এ ৩বারে একবারও আমি কোন লাইক, কমেন্ট, শেয়ার না দেই, কিংবা পোস্টটা ক্লিক করে না পড়ি, তাহলে এ পেইজের পোস্ট আমাকে কখনও আর প্রদর্শন করানো হবে না। সুতরাং আপনার পেইজের ১ লাখ মেম্বার থাকলেও লাভ নাই, যদি কোন পোস্টে তাদের অ্যাংগেজমেন্ট না থাকে।

পরামর্শ: কোন আপুর মশল্লা সম্পর্কিত বিজনেস পেইজে যারা আছে, তাদের সবাই এখনই মশল্লা কিনবেনা, তাই হয়ত এখনই সেলস পোস্টে তারা কোন কমেন্ট করবেনা, পোস্ট ইগ্নোর করবে। কিন্তু তারা যাতে প্রয়োজন হলে এ পেইজের কথাটা মাথাতে রাখতে পারে, তাই পেইজে সেলস পোস্টের পাশাপাশি প্রতিদিন কিছু অ্যাংগেজমেন্ট পোস্ট , কমপক্ষে কুইজ পোস্ট হলেও যাতে করা হয়। তাহলে মানুষজন কমেন্ট করবে, তাতেই কাজ হবে।

পয়েন্ট-৫: আমাকে কোন পোস্টগুলো ফেসবুক দেখাবে সেটি ঠিক করে আমি এর আগে কোন ধরনের পোস্টগুলো পড়তে থেমেছি কিংবা কমেন্ট, লাইক করেছি, সেধরনের পোস্টগুলোই আমাকে প্রদর্শণ করবে। এখানে আমার পছন্দ বুঝতে ফেসবুক আরও কিছু ডাটা অনুযায়ি কাজ করে। আমি কোন ধরনের পেইজে লাইক দেই, কোন টাইপ পোস্টগুলো পড়তে সময় ব্যয় করি, কিংবা ইনবক্সে, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামে কি নিয়ে কথা বলি, এমনকি অফলাইনে কারও সাথে কথা বললে সেটাও মোবাইলে ভয়েসগুলো রিসিভ করতে থাকে, সেগুলো ফেসবুক ডাটাসেন্টারে পৌছে যায়, সেগুলোর উপর আপনার গত ২-৩ দিনের ইন্টারেস্ট টপিকস ফেসবুক বুঝার চেষ্টা করে, সেই অনুযায়ি আপনাকে পোস্ট প্রদর্শন করবে।

পরামর্শ: পোস্ট রিচ কমে যাওয়ার বড় কারন সেলস পোস্ট। তাই সেলস পোস্ট করার সময়ও সেই প্রডাক্ট রিলেটেড কোন শিক্ষামুলক কিংবা বিনোদনমূলক কোন কনটেন্ট তৈরি করেন। এবং সমসাময়িক কোন আলোচিত বিষয়কে মিলিয়ে ফানি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন, তাহলে সেটির রিচ বেশি হবে।

পয়েন্ট-৬: আপনার পোস্টকে কিংবা আপনার পেইজের পোস্টকে যদি কেউ রিপোর্ট করে কিংবা আনফলো করে তাহলে সেই পেইজের কিংবা সেই ব্যক্তির পোস্টের রিচ ফেসবুক অনেক কমিয়ে দেয়।

পরামর্শ: বেশি মাত্রায় প্রডাক্ট বিজ্ঞাপন দিলে, মানুষজন তাদের নিউজফিডে বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে আনফলো করতে পারে। এই আনফলো করা লোকসংখ্যা বেড়ে গেলে বিপদ আপনার। আবারও মনে রাখতে বলছি, ফেসবুকে মানুষ বাজার করার জন্য ঢুকেনা। একটু আনন্দ পেতে, আড্ডা দিতে, রিফ্রেশ হতে ঢুকে। তাই সেখানে হকারদের দেখলে সেই হকারদের আনফলো করার রিস্ক থাকতে পারে।

পয়েন্ট-৭: পোস্টটি মানুষজনের জন্য কতটা উপকারী কিংবা কতটা পছন্দ করেছে, সেটির উপর ফেষবুক আপনার পোস্টের গুরুত্ব বুঝার চেষ্টা করে, এবং সেই ভাবে সেটাকে রিচ বাড়িয়ে দেয়।

পরামর্শ: এমন পোস্ট করুন, যাতে হা হা রিয়েক্ট না, লাইক কিংবা লাভ রিয়েক্ট কালেক্ট করতে পারেন। তাহলে পোস্টের রিচ বেড়ে যাবে। উপরের এ ৭টা পয়েন্ট মনে রাখতে পারলেই ফেসবুকের অ্যালগরিদমকে খুশি রাখতে পারবেন। ফেসবুককে খুশি রাখতে পারলে ফেসবুকও আপনাকে খুশি করে দিবে।

ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে সঠিক ধারনা পেতে, এবং কম পরিশ্রমে কম খরচে সফল পেতে আমার লেখা বইটি পড়ুন।

বই: ফেসবুক মার্কেটিং, কম খরচে বেশি আয়ের উপায়

অর্ডার লিংক: https://www.rokomari.com/book/212555/facebook-marketing

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *