Directly contributed to the IT skills development of around 20,000 people and indirectly around 30,000 people. The opportunity to play a role in the branding and business development of over 200 organizations

Get In Touch

আপনার বিজনেস পেইজের পোস্টে কিংবা অ্যাডসে রিচ কমে গেছে। খুব ফ্রাস্ট্রেশন কাজ করছে।
  • পেইজে বা গ্রুপে মেম্বার অনেক বেশি। সো বেশি মেম্বার যুক্ত পেইজে বা গ্রুপে পোস্ট হওয়ার পরতো রিচ বেশি হওয়ার কথা, কিন্তু হচ্ছেনা।
  • ফেসবুক রিচ হওয়ার আরেকটি শর্ত, সেটি হলো ভিডিও কনটেন্ট হলে রিচ বেশি হবে, খরচ করে পরিশ্রম করে ভিডিও পোস্ট করলেন, কিন্তু রিচ আগের চাইতে আরও খারাপ হয়ে গেলো।
  • পোস্টে কমেন্ট , শেয়ার পড়লে রিচ বেড়ে যায়। নিজের দলবল সাগরেদ দিয়ে ২০টার বেশি কমেন্ট করাইলেন, শেয়ারও করাইলেন, কিন্তু রিচ তারপরও খারাপ।
ফ্রাস্টেশন বেড়ে গেলো এবার।
রিচ কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কারন সাজেস্ট করলো কেউ একজন:
  • ভিডিও লেন্থ ১-২ মিনিট হলে রিচ বেশি হয়।
  • দিনের নির্দিস্ট কিছু সময় আছে, যখন পোস্ট করলে রিচ বেড়ে যায়।
এবার সেই সাজেশনটাও অনুসরণ করে অ্যাকশনে নামলেন, কিন্তু রিচ এর কোন আপডেট নাই।
সো কিছুতো আর করার নাই, তো এবার ফতোয়া দেওয়ার পালা:
  • ফেসবুক ইদানীং রিচ কমিয়ে দিয়েছে।
  • অ্যাডস রান করেও রিচ পাওয়া যাচ্ছেনা, সেলসও কমে গেছে।
  • ফেসবুকের কিছু অ্যালগরিদম আপডেট চলছে, পরে ঠিক হয়ে যাবে।
  • ফেসবুক থেকে বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে গেছে। অন্য জায়গা দেখতে হবে।

রিচ বাড়ার যেসব শর্ত উপরে দেওয়া হয়েছে, রিচ বাড়ার জন্য সবগুলো শর্তই সত্য। কিন্তু কাজ করেনাই কেন? কারন প্রধান শর্তগুলো পালন না করে পরের শর্তগুলো পালন নিয়ে অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, যার কারনে ওভারঅল রেজাল্ট একদম জিরো। তাহলে প্রধান শর্তগুলো কি সেটা বলতেছি পরে, আগে একটা মজার উদাহরণ দেই।

এটাও পড়ে ফেলুন, জাস্ট ক্লিক করুন:  গরু বিক্রির গরু মার্কা পোস্ট  

ধরেন,
পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করার জন্য শর্ত হচ্ছে, ভালো করে পড়তে হবে, পড়ার পাশাপাশি যা মুখস্থ করেছে সেগুলো খাতাতে বেশি বেশি লিখতে হবে, তাহলে মনে থাকবে ভালো। আরও ভালোভাবে মনে রাখার জন্য তখন ডিম দূধ খেতে হবে, হানি নাটসও খাওয়াতে হবে। সবগুলোই পালন করলেন, কিন্তু রেজাল্ট একদমই খারাপ আসছে। পরে খুজে দেখা গেলো, সে পরীক্ষা হলে গিয়ে না লিখে, তখন ক্লাশ রুমের সুন্দরি মেয়েদের দিকে অপলক চোখে তাকিয়ে সময়টা নস্ট করেছে। তাই সব উত্তর লিখে আসার সময় পায়নি। এখন রেজাল্ট খারাপ হয়ে গেছে দেখে, চোখের দোষ না দিয়ে যদি বলেন, বাজারে এখন সব দুধ এবং ডিমে ভেজাল, তাহলে কি সঠিক চিকিৎসা করাতে পারবেন? তার নেক্সট পরীক্ষা ভালো ফলাফল করতে হলে, চোখের দৃস্টিকে কিভাবে ঠিক করবেন, সেই ঔষধ না দিলে অলটাইম রেজাল্ট খারাপ হতেই থাকবে।
আবার ফিরে আছি, মূল টপিকসে।
রিচ বাড়ার জন্য প্রধান যে শর্তগুলো পালন করতে আপনাদের সবচাইতে বেশি ইগনোরেন্স কাজ করে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
রিচ বাড়ার প্রধান ৬টি শর্ত:
শর্ত-১ : ভিডিও বা ইমেজ হোক , সেটার টপিকস যদি মানুষের আলোচনার বা মানুষের মনের জিজ্ঞাসা নিয়ে না হয়ে থাকে, মানুষের যেটা জানার কোন ইচ্ছাই নাই, সেই টপিকস নিয়ে কথা বললেও, অডিয়েন্সের সেটাতে কিছুই আছে যায়না, সেই টপিকস নিয়ে ভিডিও বা ইমেজ যেটাই করেন, এবং সেই ভিডিও করতে গিয়ে হলিউডের স্টুডিওতে গিয়েও যদি মেইক করেন, সেটা ভালো রেজাল্ট দিবেনা।
হানি নাটস এর বিজ্ঞাপনে, সেখানের পণ্য কি প্রিমিয়াম নাকি লোকাল সেটি খুব বেশি মানুষের কিছু আসে যায়না। আবার পুস্টির অভাব পূরনে কাজ করবে, এই গল্প কতটা মানুষকে টাচ করবে জানিনা। তবে, আমি কনভেন্সড হইছি, যখন আমার পাশের কলিগ বলছে, বস, আপনিতো ব্রেইনের কাজ করেন, হানি নাটস খেলে ব্রেইন খুব দ্রুত কাজ করে, একদম পরীক্ষিত। এটাই আমাকে টাচ করছে বেশি। তারমানে প্রিমিয়াম নাকি লোকাল নাটস সেটা বলে ভিডিও লেন্থ না বাড়িয়ে যদি বলেন, আপনার আদরের বাচ্চাকে পরীক্ষার প্রতিযোগীতাতে এগিয়ে রাখতে হানি নাটস খাওয়ান, এটা স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিতে সহযোগীতা করে, এটুকু লাইনই যথেস্ট। বিজ্ঞাপনে ৯ মিনিট ধরে পুরো ইতিহাস বলাটা খুব চমৎকার ট্রিকস না। বিজ্ঞাপনে শর্টলি একটা মেসেজ বলে কনটেন্ট মেইক করলে সেটা হয় ইফেক্টিভ।
শর্ত -২: ভিডিওতে ক্যারেক্টার বা একটা মানুষ রাখা জরুরী না। মানুষ না রেখেও ভিডিও করা যায়। বরং যেটা জরুরী, সেটা হচ্ছে, যে মানুষকে ভিডিওতে রাখছেন, সেই ব্যক্তি আকর্ষনীয়ভাবে কথা বলতে পারে কিনা। যদি কথা বলার স্টাইল বাজে ধরনের বিরক্তিকর হয়ে থাকে, ওই ভিডিওতে যত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই থাকুক, সেই পোস্টের রিচ বাড়াতে ডলার অনেক বেশি খরচ হবে। অর্গানিক রিচ ও অনেক কম হবে। পোস্টের রিচ কমার এ বিষয়টা নিয়ে কতটা সচেতন আপনি?
শর্ত-৩: যেই ক্যারেক্টার দিয়ে কোন একটা মেসেজ ভিডিওতে উপস্থাপন করতেছেন, মানুষ প্রথমেই যাচাই করে, সেই ব্যক্তি এই বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য কতটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট পারসন। আপনি চিয়াসিড বিক্রি করতে গিয়ে ভিডিওতে এসে চমৎকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন, এই চিয়াসিড প্রতিদিন সকালে খেলে ওজন কমবে অনেক দ্রুত। সেটা দেখবেন রিচ কম। কিন্তু আরেকজন যে প্রতিনিয়ত ফেসবুকে ওজন কমানো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের টিপস দিচ্ছে, যা অলরেডি মানুষজন খুব পছন্দ করছে, মানুষজন ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তির ওজন কমানোর কনটেন্টে ভালোই অ্যাংগেজ হচ্ছে, তাহলে ওই ব্যক্তি যদি ভিডিওতে এসে বলে চিয়াসিড খেলে ওজন কমবে, সেই পোস্টের রিচ বাড়বে, সেলও বাড়বে অনেক। কনর্ভাসন রেট হবে অনেক কম। তাই আমরা কোন বিজনেসের ক্যাম্পেইন প্লানে ৩ মাস ধরে কিছু ডলার বার্ণ করার প্লান রাখি, যেই ডলার দিয়ে এমন কনটেন্টগুলো অ্যাড চালানো হবে, যেখানে চিয়াসিড বিক্রির কোন টার্গেট থাকেনা, ওজন কমানোর এক্সক্লসিভ টিপস থাকে। সেই সাথে ওই পেইজে ওজন কমানোর অনেক ট্রিকস কনটেন্ট মেইক করে সেই পেইজে বা সেই ব্যক্তির ওজন কমানোর টিপস সম্পর্কিত অথোরিটি তৈরিতে ডলার বাজেট রাখি।
শর্ত-৪: যে কনটেন্টটা তৈরি করবেন, সেটার ভাষা, আপনার অডিয়েন্সদের জন্য বুঝতে বোধগম্য হওয়াটা বেশি জরুরী। আগের যুগে যেটা কনটেন্টের ধরন ছিলো, সেটা হচ্ছে, খুব কঠিন কঠিন শব্দকে কনটেন্টের অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত করা হতো। কিন্তু ডিজিটাল যুগে, স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা নয়, বরং যত সহজ শব্দ ব্যবহার করে কোন কনটেন্ট তৈরি করবেন, সেটাকে মানুষজন গ্রহন করবে বেশি, তাই ফেসবুক ওই পোস্টগুলোতেই রিচ বেশি দেয়। সহজভাবে বলি, যে অডিয়েন্সের জন্য কনটেন্টটা তৈরি করবেন, সেই অডিয়েন্সের সব চাইতে কম নলেজ ওয়ালা ব্যক্তিটির কাছেও যাতে সেটি বুঝতে বেগ পেতে না হয়, সেইভাবে কনটেন্ট তৈরি করাটা জরুরী।
শর্ত-৫: মানুষের পড়ার ধৈয্য বা পুরো ভিডিও দেখার ধৈয্যের বিষয়টি মাথাতে রেখে কনটেন্ট তৈরি করাটা জরুরী। কনটেন্ট দিতে হবে মার্কেটিং করতে, এটা করলেই হবে না। সেই কনটেন্টটাতে মানুষের ধৈয্য ধরে রাখার মত, আগ্রহ নিয়ে পড়া বা ভিডিও হলে আগ্রহভরে দেখার মত করে তৈরি করতে হবে। কত সময় পযন্ত আগ্রহ ধরে রাখা সম্ভব হবে, সেটুকুই হবে ভিডিও লেন্থ। এমন ভিডিও তৈরি করলেন, সেটাতে ৩০ সেকেন্ড দেখার পরেই মানুষ বাকিটা দেখার মত আগ্রহের কিছুই পায়না, তখন সেই ভিডিও থেকে মুখ সরিয়ে নেয়, আর তখন সেই ভিডিও তখন ফেসবুক রিচ কমিয়ে দেয়। আবার উল্টোটাও ঘটে। কিছু ভিডিও ১০-২০ মিনিট হলেও আগ্রহ ধরে রাখতে সক্ষম হয় পুরো সময় ধরে। টপিকস, গল্প বলার ধরন, প্রেজেন্টেশন সব কিছুর উপর নির্ভর করে মানুষ কতক্ষণ ভিডিও তে থাকবে।
শর্ত-৬: শেষ শর্ত হিসেবে এটাকেই যুক্ত করি, আর বড় করবো না। যে কনটেন্টটার প্রেজেন্টেশনে যতটা আভিজাত্য যতটা দিতে পারবেন, ততই চোখের তৃপ্তির কারনে ব্রেইন একটা পজিটিভ সিগনাল পায়, তাই সেটা পড়তে বা সেই ভিডিওটা দেখতে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই লিখাতে চমৎকার ইমেজটা জরুরী। আবার ইনফোগ্রাফিক ব্যবহার করলেও সেই লিখা পড়ার আগ্রহ বেড়ে যায়। একই ভাবে ভিডিও তে কত চমৎকার প্রেজেন্টেশন দেখিয়েছেন, সেটার উপরই নির্ভর করে পুরো ভিডিও তে অনেক বক বক করে যে তথ্য দিয়েছেন, সেই তথ্যের কতটুকু মানুষে ব্রেইনে ধারণ করবে। তাই যদি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বাবদ বড় অংকের ইনভেস্টমেন্ট থাকে, তাহলে গ্রাফিকের ইমেজ এবং প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করতে স্কীলড কাউকেই নিয়োগ দেওয়া উচিত, কিংবা কোন প্রফেশনাল এজেন্সি যারা চমৎকার কনটেন্ট তৈরি করে ইতিমধ্যে নিজেদের প্রমান করতে পেরেছে, তাদেরকে কনটেন্টের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া উচিত। আপনার মার্কেটিং বাজেটের অনেক খরচ বেড়ে যাবে, অ্যাড কস্ট অনেক কমে আসবে। কনটেন্ট কিং এজেন্সি আপনার জন্য কনটেন্ট তৈরি করে দিতে প্রস্তুত।
বিস্তারিত জানার লিংক:… https://agency.contentkingbd.com/
উপরের যে প্রধান  ৬টি শর্ত কনটেন্ট রিচ বাড়ানোর জন্য জরুরী, সেগুলোর কয়টি নিয়ে আপনি এতদিন মনোযোগী ছিলেন বলেনতো এবার।
সবার চেষ্টা থাকে, এ প্রধান শর্তগুলো পূরন করার পর যে রেজাল্ট আসার কথা,  সেই রেজাল্টকে আরও কয়েকগুণ বেশি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যে শর্তগুলো (যেসব শর্তগুলোর কথা শুরুতে আলোচনা করেছি) সেগুলোকে পূরণ করার জন্য।
আর এবার ফেসবুক খারাপ হয়ে গেছে বলার আগে এ প্রধান ৬টি শর্ত পূরন করে কনটেন্টে তৈরি করে দেখেনতো ফেসবুক আপনাকে কতটা হতাশা করে।
কনটেন্ট তৈরির উপর  আমার একটা ক্লাশ রেকর্ডটাও সময় করে দেখে নিয়েন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *