Directly contributed to the IT skills development of around 20,000 people and indirectly around 30,000 people. The opportunity to play a role in the branding and business development of over 200 organizations

Get In Touch

পার্সোনাল ব্রান্ডিং বর্তমান যুগে বাজারে টিকে থাকার জন্য খুব বড় অস্ত্র। তাই সবাইকেই পার্সোনাল ব্রান্ডিংয়ের ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে, এবং পার্সোনাল ব্রান্ডিং খুব হট টপিকস মার্কেটারদের মধ্যে।

আমি এখানে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং: তৈরির জন্য ১০ টি সাজেশন দিচ্ছি:

পয়েন্টগুলো আরও অনেকবার পড়েছেন, কিন্তু বাংলা ব্যাখ্যাগুলো ভালো লাগছিলনা, তাই আমার মত করে পয়েন্টগুলো ব্যাখ্যা করলাম এখানে।

১. Have a focus – একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুকে ঠিক রেখেই যত ধরনের কনটেন্ট, পোস্ট, সোশ্যালমিডিয়া পোস্ট, ব্লগিং, ইউটিউব ভিডিও সব নিয়মিত প্রস্তুত করেন। বিভিন্ন গ্রপে পোস্ট করছেন পার্সোনাল ব্রান্ডিংয়ের জন্য। কিন্তু কখনও করেন ফেসবুক পোস্ট রিচ নিয়ে, কখনও পোস্ট করছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক, তাহলেতো পার্সোনাল ব্রান্ডিং হবে কিভাবে?

২. Be genuine – আপনার যে বিষয়ের উপর ভালো নলেজ আছে, যে টপিকস নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন, পার্সোনাল ব্রান্ডিংয়ের জন্য সেরকম টপিকসই সিলেক্ট করবেন। তাহলে নিজের বিশ্বাস থেকে ভালোবাসা থেকে নিয়মিত কনটেন্ট শেয়ার করতে পারবেন।

৩. Tell a story – আপনার ব্রান্ডিং টপিকসের সাথে যায়, এরকম বিভিন্ন অভিজ্ঞতা গল্পগুলো বিভিন্ন প্লাটফরমে শেয়ার করুন। সব সময় বইয়ের ভাষার মত করে লেখা কনটেন্টগুলো বাণিজ্যিক মনে হবে, সেটা আপনার পার্সোনাল ব্রান্ডিংয়ের পথে বাধা হয়ে দাড়াবে।

৪. Be consistent – অনলাইন , অফলাইন এবং সবজায়গাতে আপনার অ্যাক্টিভিটিস, কনটেন্ট টপিকস, বক্তৃতার টপিকস যাতে একই থাকে। আমি এ মুহুর্তে অনলাইন মার্কেটিং নিয়ে নিজেকে ব্রান্ডিং করছি, তাই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোন সেমিনারে কেউ আলোচনার জন্য ডাকলে আমি সেখানে যাইনা। যেহেতু আগে আমি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক নিজের ব্রান্ডিং করেছিলাম, তাই এখনও সে বিষয়ে ডাক পাই, কিন্তু নিজের বর্তমান ব্রান্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেখে সেই প্রোগ্রামগুলো অংশগ্রহন করিনা।

৫. Be ready to fail – কোন টার্গেট ব্যর্থ হলে হতাশ হয়ে যায় অনেকেই। আমি কোন ব্যর্থতাতে হতাশ হইনা। বরং সবাইকেই বলি, শুরুতে ১-২ বছর অনেক কিছুতে ব্যর্থ হওয়া জরুরী, তাতে পরের রাস্তাটা নিজেই ঠিক করতে পারবা।

৬. Create a positive impact – যে বিষয়ে আপনার পার্সোনাল ব্রান্ডিং তৈরি করবেন, সেই বিষয়ে অনলাইন , অফলাইনে অনলাইন এবং অফলাইন পজিটিভ ধারনা তৈরি করতে হবে। কেমন পজিটিভ ধারনা তৈরি হচ্ছে সেটা বুঝবেন হচ্ছে, সে বিষয়ে কেউ কিছু লিখতে গেলে আপনাকে ম্যানশন করে, আপনার কাছে সমাধান চাইতে ইনবক্সে কিংবা কলে নক দেয়, কোন আড্ডা, সেমিনার সে বিষয়ে কথা বলতে আপনাকে বক্তা হিসেবে রাখে।

৭. Follow a successful example – আপনি যে বিষয়ে নিজেকে ব্রান্ডিং করতে চাচ্ছেন, সেই টপিকসে যারা সফল, তাদের অ্যাক্টিভিটিসকে অনুসরণ করেন। তারা কি কি বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি করছে, সেই টপিকসে আপনার মতামত নিয়ে আপনার নিজস্ব প্রেজেন্টেশনে কনটেন্ট তৈরি করেন।

৮ Live your brand – আপনার ব্রান্ডকে লাইভ করুন। আপনাকে দেখলেই যাতে ওই টপিকসের বিষয়টাই সবার মাথাতে আছে। অনেকেই যে বিষয়ে নিজেকে ব্রান্ডিং করতে প্লানিং করে, সে টপিকসে নিজের ওয়েবসাইট, কিংবা পেইজ কিংবা স্লোগান নিয়ে টিশার্ট, ক্যাপ, মাস্ক সহ দৈনন্দিন ব্যবহৃত বিষয়গুলো আলাদাভাবে বানিয়ে নেন, সেটা পড়েই সব জায়গাতে যাতায়াত করেন। তাতে খুব ভালো একটা ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি হয়। এবং একটা সময় পযন্ত এ জায়গাতে ইনভেস্ট করার সুযোগ থাকলে করতে পারেন।

৯. Let other people tell your story -৮নং এ তৈরি টিশার্ট, ক্যাপ গিফট ও করেন , তখন অনেকের মাধ্যমে ব্রান্ডটা ছড়িয়ে যায়। তাছাড়া আরও অনেক অনলাইন অ্যাক্টিভিটিসের মাধ্যমেও অন্যদের মুখে আপনাদের ব্রান্ডিংটা ছড়ানোর পরিকল্পনা করা যায়। যেমন, কনটেন্ট কিং এর স্টডেন্টদের সবার প্রোফাইল পিক কনটেন্ট কিং নিজস্ব ব্রান্ডিং দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছে। তাহলে অনেকের প্রোফাইলের মাধ্যমে কনটেন্ট কিং ব্রান্ডিং হচ্ছে। আরও অনেক ক্রিয়েটিভ পরিকল্পনা করতে পারেন।

১০. Leave a legacy – পার্সোনাল ব্রান্ডিং ১-২ মাসের গেইম প্লান না। কয়েক বছর ধরে সুচিন্তিত ও পরিকল্পিত কাযক্রমের মাধ্যমে নিজের ব্র্রান্ডিং করতে হয়। সময়ে সময়ে কাযক্রমে পরিবর্তন আসবে শুধু। কিন্তু পুরো বিষয়টাই কয়েক বছরে পরিকল্পিত কাযক্রমের ফলাফল। এবং অবশ্যই চলমান একটি প্রক্রিয়া, থেমে গেলে আর ফলাফল পাবেন না, অর্থাৎ পার্সোনাল ব্রান্ডিং হবে না।

2 Comments

  • kamrul hasan

    Nice

  • AKM

    Thanks

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *