অ্যাফিনিটি কি?
অ্যাফিনিটি সম্পর্কে হয়ত আমরা অনেকে জানি। ফেসবুক আপনার পোস্টকে বেশি ভাইরাল করবে কিনা, সেটা নির্ভর করে অ্যাফিনিটি স্কোরের উপর। সহজভাবে বললে, নুসরাত আপুর সব পোস্টে অনেক বেশি কমেন্ট পড়ে। তাহলে ফেসবুক ধরবে, নুসরাত আপুর পোস্ট মানুষ অনেক বেশি পছন্দ করে সেজন্য কমেন্ট বেশি পড়ে। তাই ফেসবুক নুসরাত আপুকে বেশি অ্যাফিনিটি স্কোর দিবে এবং পরের পোস্টগুলো ফেসবুক অনেক বেশি মানুষের কাছে রিচ বাড়িয়ে দিবে। এই অ্যাফিনিটি স্কোর বাড়াতে নিয়মিত পোস্ট এবং আকর্ষনীয় পোস্ট করতে হয়। তাহলেই এ স্কোর বাড়ে।
সহজভাবে বললে, অন্যদের কাছে নিজের এবং নিজের পোস্টের ভ্যালু কি-রকম সেটাই হচ্ছে অ্যাফিনিটি।
“আমার নিজের ভ্যালু থাকলেই মানুষ আমার কথা শুনবে”।
একজন সেলিব্রেটির কথা যতটা শুনবে, আমার কথা ততটা হয়তো শুনবে না। সেলিব্রেটিদের অ্যাফিনিটি স্কোর অনেক বেশি থাকে। আমাকেও অনলাইনে সেলিব্রেটি হতে হবে। তাই বলে আমাকে নাচ-গান গেয়ে সেলিব্রেটি হতে হবে না। আমার কথা মানুষ যাতে শুনে এবং গুরুত্ব দেয় এমন ভ্যালু আমাকে ক্রিয়েট করতে হবে।
ফেসবুকে কিভাবে অ্যাফিনিটি বাড়াতে হবে
যদি সফল উদ্যোক্তা হতে চাই, তাহলে অ্যাফিনিটি স্কোর বাড়াতে হবেই। আর অ্যাফিনিটি স্কোর বাড়াতে হলে নিচের পরামর্শগুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে-
- প্রতিদিন অবশ্যই আমার প্রোফাইলে এবং অ্যাক্টিভ গ্রুপগুলোতে একটি হলেও পোস্ট করতে হবে।
- পোস্টের ধরনে বৈচিত্র আনতে হবে, ক্রিয়েটিভ টাইপের পোস্ট করে অডিয়েন্সদের আগ্রহ বাড়াতে হবে।
- ব্যতিক্রমী উপস্থাপনের মাধ্যমে নিজের প্রতি অন্যদের আগ্রহ বাড়াতে হবে।
- কমেন্ট এবং শেয়ার হওয়ার মত পোস্ট প্রস্তুত করতে হবে।
অ্যাফিনিটি স্কোর কমে যাওয়ার কারন:
- অতিরিক্ত পরিমানে সেলস পোস্ট আমার থেকে অনেকের দূরত্ব তৈরি করে দিবে।
- বোরিং টাইপ পোস্ট আমার পোস্টের ব্যাপারে নেগেটিভ ধারনার জন্ম দিবে।
- বিশাল বড় আর্টিকেল পোস্ট অ্যাফিনিটি স্কোর কমে যাওয়ার জন্য দায়ি।
- পোস্টের কমেন্টগুলোতে রিপ্লাই কম থাকলে অ্যাফিনিটি কমে যায়।
- ইমেজ ছাড়া পোস্ট অ্যাফিনিটি নিচে নামিয়ে দেয়।
- বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে নিজের অ্যাক্টিভিটি কম থাকলে পার্সোনাল অ্যাফিনিটি স্কোর কমে যাবে।
অ্যাফিনিটি স্কোর বাড়ানোর উপায়:
- অনলাইন প্লাটফরমগুলোতে যতবেশি অ্যাক্টিভ থাকতে পারব তত অ্যাফিনিটি স্কোর বাড়বে।
- যত বেশি ক্রিয়েটিভ উপায়ে অ্যাক্টিভ রাখতে পারবো, তত বেশি অ্যাফিনিটি স্কোর বাড়বে।
- যত বেশি ভিজিউয়াল পোস্ট অর্থাৎ ইমেজ এবং ভিডিও ব্যবহার করে পোস্ট করব, তত বেশি অ্যাফিনিটি স্কোর বাড়বে।
- কমেন্ট এবং ইনবক্সে দ্রত রিপ্লাই অ্যাফিনিটি স্কোর বাড়াবে।
- বিভিন্ন অনলাইন কমিউনিটিতে উপকারী, পরামর্শমূলক পোস্ট নিয়মিতভাবে করলে অ্যাফিনিটি বাড়বে।
- পার্সোনাল ভ্যালু ক্রিয়েট করতে হবে, যাতে মানুষ আমার কথা শুনতে চায় এবং উপকৃত হয়।
- আমার পোস্ট আমার ব্যক্তিত্ব, রুচিকে প্রকাশ করে। তাই পোস্ট করার ক্ষেত্রে পজিটিভ ধারনা তৈরির বিষয়টি মাথাতে রাখতে হবে।
- মানুষের আগ্রহকে মাথাতে রেখে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে, যাতে কনটেন্টটি শেয়ার করার মতো হয়।