Directly contributed to the IT skills development of around 20,000 people and indirectly around 30,000 people. The opportunity to play a role in the branding and business development of over 200 organizations

Get In Touch

কমার্স বিজনেস এর ফেসবুক এড নিয়ে ২০টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ টিপস

প্রশ্ন জাগতে পারে কেনো আমাদের ফেসবুক এডস সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে?এড না দিলে কি হবে না?

এড কেনো প্রয়োজন সেটা আগে জানতে হবে।

অনেকগুলো প্রসেস মেইনটেইন করতে পারলেই অর্গানিক রিচ এবং অর্গানিকভাবে সেল সম্ভব যা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যপার যেটা করা হয়তো অনেকের পক্ষেই সম্ভব হবে না।

যে সময়টা আপনি এতোগুলো প্রসেস মেইনটেইন করতে ব্যয় করবেন সে সময়ে টাকা খরচ করে বুস্ট করলে আপনি প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট এ মনযোগী হতে পারবেন। সেজন্যই আপনি ফেসবুক এডস সার্ভিস গ্রহন করতে পারেন। সংক্ষিপ্তভাবে এটাই ফেসবুক অ্যাড সার্ভিস ব্যবহারের কারন। পুরো লেখাটার শেষে ফেসবুক অ্যাডস সার্ভিস দেয় এরকম দুটো এজেন্সির নাম সাজেশন করেছি।

ফেসবুক অ্যাডে টাকা খরচ করার আগে নিচের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপসগুলো জেনে নিন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।

১) আকর্ষনীয় ইমেজ ব্যবহার করুন

  • প্রথমত খুবই ভালো মানের ছবি ব্যবহার করতে হবে।ছবি হতে হবে কালারফুল।তাহলে ভালো ফলাফল আসবে।
  • ফেসবুক কালারের সাথে মিলে যায় বলে সাদা,আকাশি,এই কালারগুলো না ব্যবহার করাই ভালো। এগুলো ছাড়া অন্য সব কালার ব্যবহার করতে পারবেন। ফলাফল ভালো পাবেন।
  • ইমেজ ব্যবহারের ক্ষেএে হাসিখুশি ছবি ব্যবহার করতে হবে। করন হাসিখুশি চেহারার ছবি মানুষকে ইমোশনালি কানেক্ট করে।বিভিন্ন দেশের বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে মেয়েদের ছবি ব্যবহার করলে পোস্ট রিচ হয় বেশি এবং মানুষকে আকর্ষণ করে বেশি। অর্থাৎ প্রোডাক্টের মডেল হিসেবে মেয়ে মডেল ব্যবহার করলে মানুষকে সেই ইমেজে আটকিয়ে রাখা যায়।
  •  এড তৈরির ক্ষেএে নিজেদের ছবি ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো ফল পাবেন।বাচ্চাদের ছবিও অনেক ভালো রিচ করে।

মানুষ ফেসবুকে শুধু স্ক্রলিং করে। তাদের স্ক্রলিং থামিয়ে দিতে আকর্ষনীয় ছবি ব্যবহার সবচাইতে বেশি জরুরী।

২) ইকমার্স ওয়েবসাইটে ফেসবুক পিক্সেল সেটআপ করে বুস্ট করুন

একটা গবেষনাতে দেখা গেছে ৯৩% ক্ষেত্রে মানুষ কোন ব্রান্ডের পোডাক্ট প্রথমবার দেখার পর কিনার সিদ্ধান্ত নেন না। তাই একই মানুষকে বার বার  আপনার ব্রান্ডের প্রোডাক্ট বার বার দেখানোর জন্য ওয়েবসাইটে ফেসবুক পিক্সেল সেটআপ করে নিন।

ফেসবুক পিক্সেল সেটআপ করলে যারা একবার হলেও আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে অর্থাৎ আপনার ব্রান্ডের সাথে পরিচিত হয়েছেন তাদেরকেই টার্গেট করে অফার দেওয়া সম্ভব হয়। এই পিক্সেল সেটআপ থাকলে আরও সুবিধা হচ্ছে, যে যে ধরনের প্রোডাক্টের ব্যাপারে আগ্রহী, তাকে শুধুমাত্র সেই ধরনের প্রোডাক্টের অ্যাড শো করানো হবে। অর্থাৎ কোন নারী যদি লেহেংগা দেখে গেলেন কিন্তু দামের কারনে হয়তো কিনতে পারেননি। কিন্তু পিক্সেল সেটআপ থাকার কারনে সেই নারীকে ফেসবুক মনে রেখেছে।  এবার এ পিক্সেলের ডাটাকে টার্গেট করে অফার সেট করে বুস্টিং করলে ফলাফল ভালো পাবেন।

৩) ফেসবুক অ্যাড দেওয়ার সময় একদম অন্ধভক্তদের টার্গেট করুন:

পিক্সেল ছাড়া বুস্ট করতে চাইলে, তখন খুব স্পেসিফিকভাবে টার্গেট সেট করতে হবে। ইন্টারেস্ট এর মাধ্যমে আমরা খুব ভালো একটা টার্গেটিং করতে পারি। যে যে আইটেম নিয়ে কাজ করে সে শুধু মাত্র সে বিষয়ে আগ্রহী অডিয়েন্স কেই টার্গেট করবে। তাহলে আশা করা যায়,ভলো ফল আসবে। ইসলামিক বই বিক্রির বুস্ট করলে ইসলামিক বইয়ের প্রকাশনীকে কিংবা ইসলামিক পেইজকে লাইক দিয়েছে যে ব্যক্তি শুধুমাত্র তাকেই টার্গেট করতে হবে। টার্গেট খুব ছোট হয়ে যাবে, তাতে সমস্যা নাই। খরচ যেটা করবো, তাতে ফলাফল ভালো আসবে।

৪) প্রোডাক্ট পেইজ ভিজিটকারীদের নিয়ে কাস্টমস অডিয়েন্স লিস্ট তৈরি করুন

পয়েন্ট টা পড়ে ই বুঝতে পারছেন কি বলতে চাচ্ছি।অর্থাৎ যারা অলরেডি আপনার পেইজ ভিজিট করেছেন তাদেরকে টার্গেট করে এড চালাতে পারেন। পর্যবেক্ষণ বলছে যে কোন মানুষ কোন একটা এড একবার দেখেই কিনতে আগ্রহী হন না।আপনি যদি সেই এড তাদেরকে কয়েক বার দেখাতে পারেন তাহলে হয়তো তিনি ক্রেতা তে পরিবর্তন হতে পারেন। আর যারা অলরেডি আপনার পেইজে আছে তাদের জন্যও বিভিন্নধরনের অফার নিয়ে এড হতে পারে।

৫) CART এ প্রোডাক্ট যুক্ত করেও কিনেনি, এমনদেরকে টার্গেট করুন:

এখন এখানে এমনও আছে যারা আপনার প্রোডাক্ট সিলেক্ট করে Add to cart করেছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিনেন নি। সেটা বিভিন্ন কারনে হতে পারে। তারা একদম প্রোডাক্ট কেনার কাছাকাছি হতে ফেরত এসেছে। তাদেরকে অল্প একটু ধাক্কা দিলেই তারা অবশ্যই খুব সহজে ক্রেতাতে রুপান্তর হবে।

তাদেরকে আগ্রহী করতে ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে, তাদেরকে টার্গেট করে বুস্ট করলে কনভার্সন ভালো হবে।

এরকম একটি বিজ্ঞাপনের উদাহরণ হিসেবে ছবিটি দেখুন।

উপরের ছবিতে টাইটেলের লিখাটি পড়ে দেখুন: your cart is waiting

এর পর নিচে তাদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট অফার দিয়েছে। এমন বিজ্ঞাপন দেখলে, যারা একবার ঘুরে এসেছে, তারা না কিনে কিভাবে ফেরত যাবে বলেনতো!

৬) বর্তমান গ্রাহকদের কাছে আপসেল করুন:

যারা অলরেডি আপনার কাস্টমার, যারা আপনার উপর সন্তুষ্ট, তাদেরকে পরবর্তীতে আবার ক্রেতা বানানো সহজ। তাই তাদেরকে বিশেষ টার্গেট করে, বিশেষ অফার দিয়ে শুধুমাত্র তাদের জন্য পোস্ট করুন। তাদেরকে নিয়মিত ক্রেতা বানিয়ে ফেলুন। আপনাকে যদি তাদের কাছে বিশ্বস্ত প্রমান করতে পারেন, তাহলে আপনার ব্রান্ডের অন্য প্রোডাক্টকে কেনার ব্যপারে তাদেরকে অফার করলে তারা ফিরিয়ে দিবে না। তাই বিক্রি বৃদ্ধি চাইলে, এবং ফেসবুক অ্যাড থেকে ভালো ফলাফল চাইলে তাদের কাছে আপসেল করার জন্য ক্যাম্পেইন সেট করুন।

৭) রেফারাল প্রোগ্রাম পরিকল্পনা করুনঃ

এটা হচ্ছে যারা আপনার থেকে কিনছে তারা যদি তাদের কোন বন্ধু বান্ধব বা আত্নীয় স্বজনকে আপনার পেইজ বা প্রোডাক্ট রেফার করে তাহলে তাকে আলাদা ডিসকাউন্ট বা অন্য কোন সুযোগসুবিধা দেয়া হবে এই রকম একটা অফার পোস্ট করা। তাতে আগ্রহী হয়ে পূর্বের ক্রেতারা নিজেরাই প্রোডাক্টের মার্কেটিং করবে। আর আমরাতো জানি, বেশিরভাগ মানুষ তার কাছের মানুষের অভিজ্ঞতা শুনেই যেকোন কিছু কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। সুতরাং এ রেফারাল প্রোগ্রাম অনেক ভালো ফলাফল নিয়ে আসবে।

৮) আকর্ষনীয় কনটেন্টকে প্রমোট করুনঃ

সেলস ফানেলের বিভিন্ন স্টেজের জন্য আলাদাভাবে আকর্ষনীয় কনটেন্ট রেডি করুন। কনটেন্ট প্রস্তুত করার সময় অবশ্যই মাথাতে রাখতে হবে, সেলস ফানেলের কোন স্টেজের লোকদের জন্য কনটেন্ট প্রস্তুত করছেন।

অর্থাৎ যারা আপনার ব্রান্ড সম্পর্কে কখনও জানে না, তাদেরকে ব্রান্ড চেনানোর জন্য যে কনটেন্ট পরিকল্পনা করবেন, আর যারা ব্রান্ডকে পজিটিভলি চিনে, তাদের টার্গেট করে একই ধরনের কনটেন্ট পরিকল্পনা করলে, সেটার ফলাফল ভালো হবে না। আবার যারা একবারে এ ব্রান্ড থেকে প্রোডাক্ট কিনেছেন, তাদেরকে টার্গেট করে আবার ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট প্রস্তুত করতে হবে।

যে স্টেজের কথা মাথাতে রেখে কনটেন্ট প্রস্তুত করেছেন, বুস্ট করার সময় তাদেরকেই শুধুমাত্র টার্গেট করে বুস্ট করতে হবে, তাহলে ফলাফল অন্য রকম হবে।

৯) ‘look a like’ অডিয়েন্সকে টার্গেট করে বুস্ট করতে হবে:

কাস্টমস অডিয়েন্সে যাদেরকে পেয়েছেন, তাদের ইন্টারেস্টের সাথে হুবহু মিল পাওয়া যায়, এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করতে look a like অডিয়েন্স অপশনকে কাজে লাগিয়ে বুস্ট করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। কাস্টমস অডিয়েন্সে মাত্র ১০০ জন অডিয়েন্স যুক্ত হলেও সমস্যা নাই। এ ১০০জনের মত আচরনের আরও ১০ হাজার মানুষকে টার্গেট করে বুস্ট করে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

১০) কনটেস্ট আয়োজন করেও ভাল বিক্রি বাড়ানো সম্ভব:

প্রতিযোগীতাতে বিজয়ী হয়ে কিছু পেতে সবাই খুব আগ্রহী হয়ে থাকে।  তাই  এমন আইডিয়া নিয়ে কনটেস্ট আয়োজন করেন, যা চ্যালেঞ্জিং হবে। তাহলে অনেকে ক্রেডিট দেখানোর জন্য হলেও এই প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহন করতে আগ্রহী হবে। অংশগ্রহণ করতে না পারলেও সেই প্রতিযোগীতা নিয়ে আলোচনা অনেক হবে, যা ব্রান্ডিংয়ের জন্য অনেক উপকারী হবে।

এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বনানীতে অবস্থিত woodhouse grill এর একটি প্রতিযোগীতার কথা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। তারা বিগত ৬মাস ধরে প্রচার করে যাচ্ছে, ৩০ মিনিটের মধ্যে যদি কেউ খাবার খেয়ে শেষ করতে পারে, তাহলে তাকে কোন পেমেন্ট করতে হবে না। আর না পারলে তাকে খাবারের মূল্য হিসেবে ৪৫০০টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এবার ভাবুনতো তাদের এ কনটেস্ট ক্যাম্পেইন নিয়ে। কনটেস্টে জিতার নেশা থেকে অনেকেই এসে অংশগ্রহন করছে। ৯০% মানুষ এ কনটেস্টে জিততে পারবে না। তাই তাদের পেমেন্ট করতে হচ্ছে। আবার যারা কনটেস্টে অংশগ্রহন করছে, তারা তার কাছে মানুষদের কাছে বিরত্ব দেখানোর জন্য প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহনের সময় অবশ্যই সাথে করে আরও কয়েকজনকে নিয়ে যাচ্ছে। যাদের সাথে নিয়ে যাচ্ছে, তারা প্রতিযোগীতাতে অংশগ্রহন করছেনা, কিন্তু তারাতো আর না খেয়ে আসবে না। তাই তারাও খাবার অর্ডার করবে অবশ্যই। বিক্রি বৃদ্ধির এ অভিনবও ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা করে সেটিকে বুস্ট করে দিন। এবং শেয়ার কিংবা লাইককেও প্রতিযোগীতাতে জিতার জন্য উপাদান হিসেবে ঘোষনা দিন। দেখুন, কি ফলাফল আছে।

১১) ফেসবুকের create an offer অপশন ব্যবহার:

ফেসবুকের পেইজে Create an offer নামে একটা অপশন আছে। যেটাকে কাজে লাগিয়ে অফার পোস্ট করলে বিশেষ অ্যাডভান্টেজ পাওয়া যায়। যাদের নিউজফিডে এটি প্রদর্শন করবে, তারা যদি এ বিজ্ঞাপনটি save করেন, তাহলে ফেসবুক বার বার এই অফার তাদেরকে শো করতে থাকবে। অফার শেষ হওয়ার আগ পযন্ত সেই সব আগ্রহী ব্যক্তিকে ফেসবুক নিজেই বারবার নোটিফিকেশন পাঠাবে। শুরুতে অফারটি দেখে না কিনলেও  বার বার নোটিফিকেশন পেলে অনেকেই প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

১২) ফেসবুক ফ্যানদের জন্য কুপন ব্যবহার করে অফার করুন

ফেসবুকের একটি অ্যাপস আছে। লিংক: facebook.com/coupons.tab/

এখানের মাধ্যমে আপনার পেইজের ফ্যানদের বিশেষ ডিসকাউন্ট কুপন ব্যবস্থা করতে পারেন। এটা করলে ফ্যানরা অনেক অ্যাকটিভ হবে, অন্যরাও পেইজের ফ্যান হওয়ার ব্যপারে আগ্রহী হবে। যে ফ্যানদের জন্য এ অফারটির ব্যবস্থা করেছেন, তারাও নিজেদেরকে বিশেষ কিছু ভাবার চেষ্টা করবে, এবং নিজেরাই আপনার ব্রান্ড নিয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা করবে।

১৩) ফেসবুক পেইজে শপ তৈরি করুন

ফেসবুকের পেইজের মাধ্যমে ইকমার্স বিজনেস করার জন্য যে SHOP অপশন রয়েছে, সেটি ব্যবহার করে নিজের জন্য SHOP খুলুন। এই শপে প্রোডাক্ট শো-কেস থাকে, যা ক্লায়েন্টকে প্রোডাক্টটি বেছে নিতে সহযোগীতা করে। প্রতিটা প্রোডাক্টের নিচে দাম এবং কেনার জন্য কল টু অ্যাকশন বাটন থাকে। ইকমার্স ওয়েবসাইট না থাকলে এটিও ইকমার্স শপ হিসেবে কাজ করবে। যেসব প্রোডাক্টের চাহিদা বেশি সেসব প্রোডাক্টকে সাজিয়ে সামনে রাখলে বিক্রি বেড়ে যাবে অনেক গুন।

১৪) বিজ্ঞাপনে আকর্ষনীয় শব্দ ব্যবহার করুন:

প্রতিদিন ফেসবুকে প্রচুর পোস্ট হয়। স্পন্সরড পোস্টের সংখ্যাও অসংখ্য। এত পোস্ট চোখের সামনে আসলে মানুষজন দ্বিধাতে পড়ে যায়, কোনটা পড়বো। মানুষ তাই স্ক্রলিং করে নিচে নেমে যায়। চোখ আটকা পড়ে যায়, অল্প কিছু সংখ্যক পোস্টে। অন্যের স্ক্রলিং থামিয়ে নিজের পোস্টে চোখ আটকানোর জন্য উপায় হচ্ছে পোস্টে ব্যবহৃত ছবি, এবং পোস্টের শুরুর লাইন। তাই শুরুর লাইনটি লিখার ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভ হতে হবে অবশ্যই। শুরুর লাইনটি আকর্ষনীয় হলে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা See more বাটনে ক্লিক করে বাকি তথ্যগুলো পড়ার চেষ্টা করবে। লিখাতে ইমোজি ব্যবহার করে মূল ফোকাস লাইনগুলোর দিকে নজর ধরে রাখতে পারেন।

১৫) বিজ্ঞাপনে ট্রিগার ক্লিক টাইপ শব্দ ব্যবহার করুন:

বিজ্ঞাপনে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি ধরে রাখার জন্য এমন সব ট্রিগার ক্লিক শব্দ ব্যবহার করুন, যাতে ব্যস্ত চোখ আটকে যায়।

সেরকম কিছু শব্দ বলে দিচ্ছি:

  • Limited time only
  • Buy now
  • Don’t miss out
  • Offer expires
  • Clearance
  • Deadline

প্রতিটা শব্দই একটু তাড়া দিচ্ছে, যাতে মনে হয় দেরি করলেই অনেক কিছু মিস হয়ে যাবে। এ ধরনের আরও অনেক শব্দ হয়ত আপনাদের ঝুড়িতে রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন তৈরি করুন, অভাবনীয় ফলাফল পাবেন।  ইভ্যালি’র বিজ্ঞাপনগুলোর দিকে চোখ দিন, দেখবেন এ ধরনের শব্দের ব্যবহার তারা খুব বেশি করে। তাই খুব দ্রত সবার নজরে চলে এসেছে।

১৬) ইমেইল লিস্ট সংগ্রহ করার জন্য ফেসবুক অ্যাড রেডি করুন:

ফেসবুক রিমার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং যৌথভাবে চালালে এ মার্কেটিং অ্যাকশন থেকে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। বাল্ক ইমেইল লিস্ট ধরে এ ক্যাম্পেইনে ফলাফল পাবেন না। আপনার ব্রান্ডের জন্য যারা লিড, সেই সব লিডদের কাছে ইমেইল পাঠাতে হবে। ফ্রী ট্রায়াল, ফ্রি প্রোডাক্ট এরকম বিভিন্ন অফারের শর্ত হিসেবে ইমেইল লিস্ট সংগ্রহ করে নিতে পারেন। সেই সব ইমেইলে নিয়মিত নিউজ লেটার, নতুন অফার, নতুন প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানিয়ে মেইল করতে পারেন। তারা ফেসবুকে আপনার ব্রান্ডের প্রচার দেখবে, ইমেইল খুললেই সেখানে আপনার ব্রান্ড সম্পর্কে নোটিফিকেশন পাবে। এরকম বিভিন্ন মিডিয়াতে আপনার ব্রান্ডের নোটিফিকেশন পেলে সেটা ক্রেতাকে প্রোডাক্ট কিনার সিদ্ধান্ত গ্রহনে উদ্ধুদ্ধ করবে।

১৭) স্ক্রলিং বা ক্যারোসেল অ্যাড বিক্রি বৃদ্ধিতে সহায়ক

স্ক্রলিং বা ক্যারোসেল অ্যাডে অনেকগুলো প্রোডাক্টকে একসাথে দেখানো সহজ হয়। তাই ইকমার্স বিজনেসের জন্য এ টাইপ ফেসবুক অ্যাড সবচাইতে বেশি কাযকরী।  আপনারে ব্রান্ডের সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় কয়েকটি প্রোডাক্টগুলোর দাম এবং কল টু অ্যাকশন বাটনসহ অ্যাড তৈরি করুন। এই অ্যাডটিতে রিটার্ণ ভাল পাবেন।

১৮) ভিডিও বিজ্ঞাপন নির্মান করুন:

ভিডিও পোস্ট সবচাইতে বেশি মানুষের নজর কাড়তে পারে। আর আকর্ষনীয় ভিডিও সবারই খুব পছন্দের আর একটা প্রিমিয়াম ভাব থাকে। তাই আপনার ব্রান্ডের জন্য প্রতিমাসে কমপক্ষে ২টা ভিডিও তৈরি করুন। সেই ভিডিওকে প্রমোট করতে ফেসবুক অ্যাড ব্যবহার করুন। একটা ভিডিওতে অনেক মেসেজ ঢুকানো যায়। যত ক্রিয়েটিভ এবং প্রফেশনাল ভিডিও, তত বেশি ব্রান্ড ভ্যালু বাড়বে।

১৯) ফেসবুকে প্রচারিত লাইভ ভিডিওকে বুস্ট করুন:

নিজের ব্রান্ড পেইজ থেকে লাইভ প্রোগ্রাম আয়োজন করলে সেটাতে ভাল অ্যাংগেজমেন্ট পাওয়া যায়।  এ ধরনের লাইভ প্রোগ্রামে ভাল বিষয়বস্তু এবং ভাল বক্তা নিয়ে প্রফেশনালভাবে আয়োজন করলে সেই লাইভ প্রোগ্রামটি সবার নজর কাড়তে সক্ষম এবং ব্রান্ড ভ্যালু বেড়ে যায় অনেকগুন। আরও বড় সুবিধা হচ্ছে, লাইভটি প্রচারের পর সেটি আর্কাইভে থেকে যায়। সেই ভিডিওকে কিংবা এ ভিডিওর কোন বিশেষ অংশকে নিয়ে ফেসবুক অ্যাড এর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে প্রচার করা সম্ভব হয়। নিজের ব্রান্ডকে ছড়িয়ে দেওয়ার এ অপশনটি মিস না করাটাই যৌক্তিক হবে।

২০) বিজ্ঞাপনে কল টু অ্যাকশন বাটন ব্যবহার করুন:

বিজ্ঞাপনে অবশ্যই কল টু অ্যাকশন বাটন ব্যবহার করুন। ফেসবুক ৯টি বিভিন্ন কল টু অ্যাকশন বাটন ব্যবহারের সুযোগ দেয়। signup, shop now, learn more, Apply now ইত্যাদি আরও কাযকরী কিছু কল টু অ্যাকশন বাটন রয়েছে, যা বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সেই বাটনগুলোতে ক্লিক করার আগ্রহ বেড়ে যায়। মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবং বিজ্ঞাপন হতে ফলাফল পেতে  এ বাটনগুলো ব্যবহার করতে ভুললে চলবেনা।

অর্গানিকভাবে মার্কেটিং করার পাশাপাশি ফেসবুক অ্যাড এর পিছনে কিছু বাজেট অবশ্যই রাখা দরকার। উপরের ২০টি ট্রিকস অনুসরণ করলে এই খরচে লস হবে না। অবশ্যই কয়েকগুণ লাভ ফেরত পাবেন। তাই একটু কৌশলি হোন।

ফেসবুক অ্যাড সার্ভিস এজেন্সির ব্যাপারে সাজেশন চায় অনেকে। এখানে দুটো প্রতিষ্ঠানের নাম সাজেস্ট করছি।

১) অ্যাড সেভেন্টি ওয়ান

২) সোশ্যাল গিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *